এক যুবতী প্রেমিকের সঙ্গে পালাল স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা, গয়না হাতিয়ে নিয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সংসারে চরম অনটন। এরই মধ্যে স্ত্রীর প্ররোচনায় টাকার জন্য কিডনি বিক্রি করেন হাওড়ার সাঁকরাইলের এক যুবক। কিন্তু সেই টাকা হাতিয়ে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে ওই যুবকের স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড়ি হাটতলা এলাকায়। বছর উনচল্লিশের পিন্টু বেজ নামে ওই যুবক স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

জানা গেছে বছর ষোলো আগে পিন্টু বেজের সঙ্গে বিয়ে হয় সম্পূর্ণ বেজের। প্রেম করে বিয়ে। তাঁদের বছর বারোর কন্যা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে নিজেদের নাবালিকা কন্যার বিয়ের জন্য এখন থেকেই সোনার গয়না গড়িয়ে রাখা প্রয়োজন, এমনই বার বার স্বামীকে বলে তাঁর একটি কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন সুপর্ণা বেজ। এরপর সেই নগদ মোট দশ লাখ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে বছর পঁয়ত্রিশের সুপর্ণা বেপাত্তা হয়ে যান তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে। হাওড়ার সাঁকরাইলের যুবক পিন্টুর এমনই অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

আরো খবর পিন্টু বেজ প্রথমে তাঁর স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন এবং তারপর স্ত্রীকে খুঁজে পেতে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন। এক্ষেত্রে মামলাকারীর স্ত্রীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর দায়িত্ব পুলিশের। যদিও হেবিয়াস কর্পাস মামলায় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই ওই মহিলা অর্থাৎ পিন্টুর স্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তাঁর প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করায়নি।

এদিকে পুলিশের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৭ জানুয়ারি হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালতের বক্তব্য, যেহেতু মহিলার হদিশ পাওয়া গিয়েছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে আর হেভিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না। স্ত্রী তাঁর সর্বস্ব নিয়ে চলে যাওয়ার পর পিন্টু জানান , “আমাকে বারবার কিডনি বিক্রি করার কথা বলত। ১০ লক্ষ টাকায় কিডনি বিক্রি করি। সেকথা বাড়ির অন্য কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিল স্ত্রী। তাই কাউকে জানাইনি। কিডনি দেওয়ার পর যখন অসুস্থ ছিলাম, তখনই সব নিয়ে চলে গিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *