একদিকে শিয়ালদা অন্য দিকে হাওড়া, এত যাত্রীদের যাতায়াতের দিক থেকেও বর্তমানে হাওড়াকে সবচেয়ে বেশি টেক্কা দিচ্ছে শিয়ালদা
নিজস্ব সংবাদদাতা : একদিকে দার্জিলিং মেল, পদাতিক এবং উত্তরবঙ্গ এবং অন্যদিকে বন্দে ভারত এবং শতাব্দী। তবে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের কিন্তু পছন্দ দার্জিলিং মেল এবং পদাতিক ই সৌজন্যে শিয়ালদা স্টেশন। অনেকে জানিয়েছেন শিয়ালদা স্টেশন পৌছালে মনে হয় শিলিগুড়িতেই আছি , এতবার যাতায়াত করা হয়েছে কেন যেন আপন আপন মনে হয়, অন্যদিকে রাখতে হাওড়া পৌঁছালে এক অপরিচিত আতঙ্ক ঘিরে ফেলে যাত্রীদের।
তারা জানায় তারা বছরের পর বছর ধরে মানুষ যাতায়াত করছেন দার্জিলিং মেল এবং পদাতিক এ সেখানে বন্দে ভারত এবং শতাব্দি হয়তো অনেকটাই পিছিয়ে। উত্তরবঙ্গের অনেক যাত্রীদের মুখের কথা যেখানে রাতে ঘরে ঘুমাই সেখানে এক রাতে ট্রেন এ ঘুমাচ্ছি, এইতো তফাৎ , তাছাড়া শিয়ালদা পৌঁছে নিজেকে একই রকম নিরাপদ লাগে যেটা হাওড়া কে লাগেনা। শিয়ালদা তে নেমে যে যার গন্তব্যস্থলার উদ্দেশ্যে রওনা দি আমরা। এটাই বছরের পর বছর ধরে করে এসেছি আমরা, আর শিলিগুড়ি থেকে হাওড়া গামী ট্রেন ধরলে সমস্যা বাড়ে। পরিকল্পনা করতে হয় কোথায় যাব কি করব,এটা কখনো শিয়ালদা গেলে হয় না। এত ট্রেন হওয়ার পরেও হাওড়া গামী ট্রেনে আপনি টিকিটই পাবেন না। শিয়ালদার এই জনপ্রিয়তা একমাত্র এসেছে যাত্রীদের বিশ্বাসের জন্য, পাহাড় থেকে যারা আসেন এবং জলপাইগুড়ি থেকে যারা আসেন সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেন হাওড়া থেকে শিয়ালদার নিরাপত্তা অনেক বেশি। অন্তত আমাদের উত্তরবঙ্গের লোকদের কাছে তো বটেই। তাই আমরা শিয়ালদায় যেতে পছন্দ করি। দূরত্ব ৫৪০ কিলোমিটার কিন্তু একবার বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়ে গেলে যে সময় কে আর সময় মনে হয় না উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের, শিয়ালদা স্টেশনের প্রতি ভালোবাসাই তার প্রমাণ।