“এখন চলে আসছে তন্দুরি চা ” তবুও নেতাজি কেবিনই মানুষের প্রথম পছন্দ, এমনটাই মনে করেন কর্ণধার প্রনবিন্দু বাগচী

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

শিলিগুড়ি : একের পর এক পুরস্কার, তবুও নির্বাক প্রণবিন্দু বাগচী। তিনি জানালেন আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য, যেসব মানুষ সব দোকান বাদ দিয়ে আমার দোকানে আসেন চা খেতে তাদের ভালো চা খাওয়ানো। আমি নিজেও পছন্দ করি মানুষ যাতে ভালো চা খেতে পারে। আজকে আমার দোকান বাংলার মধ্যে জনপ্রিয় দোকান। মানুষ বাইরে থেকে এসে, আমার দোকানের চা খাচ্ছেন প্রশংসা করছেন এটাই আমার কাছে সবচাইতে বড় সম্পদ, এমনটাই জানালেন প্রনবিন্দু বাগচী।

তিনি এও জানান এখন সব জায়গাই আধুনিক। তন্দুরি চা এসেছে, ফোটানো চা এসেছে, আরো কত ধরনের চা, কিন্তু চা তো চাই। আমি চেষ্টা করি এবং এটা আমার কর্মচারীদেরও আমি বলেছি, যতটা সম্ভব ভালো চা মানুষকে খাওয়াতে। শুধুমাত্র চা নয়, যেটাই তৈরি হয় সেটা যেন মানুষ পছন্দ করেন খেতে। আর সেটাই হবে আমার আশীর্বাদ। তিনি আরো জানান, এখন সব আধুনিক উপায়ে চা হচ্ছে, আমরা চলি পুরনো উপায় নিয়ে। আমার বাবা, বহু কষ্ট করেছেন বহু পরিশ্রম করেছেন এই চায়ের দোকানকে বড় করে তোলার পিছনে। আজকে এই যে নাম আমার দোকানের, আমার দোকানের খ্যাতি গোটা বাংলা জুড়ে, তার মূল কৃতিত্ব কিন্তু আমার বাবার। মন্টু বাগচি যদি এইভাবে দোকান শুরু না করতেন তবে হয়তো এই জায়গায় পৌঁছাতে পারত না এই দোকান। সবার আশীর্বাদ, সবার ভালোবাসাতেই আমরা এই জায়গাতে পৌঁছিয়েছি। আমার দোকানের কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করেছে, এই দোকানে সুনামের পিছনে তাদের অবদানও কম নয়।

প্রণব বাবু আরো বলেন , আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্য রাখতে চেষ্টা করি যাতে ভালো চা আমি আমার খদ্দের দের খাওয়াতে পারি। কারণ অনেকেই আছেন আমার দোকানের চা ছাড়া অন্য জায়গার চা তারা পছন্দ করেন না। আর এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি সেরাটা দিতে। আগে শিলিগুড়িতে এত চায়ের দোকান ছিল না, এখন প্রচুর আধুনিক চায়ের দোকান হয়েছে, আধুনিক উপায় চা তৈরি করে তারা মানুষকে খাওয়াচ্ছে। তবে আমি আমার পুরনো ধারাকেই বজায় রেখেছি। আর এটাই আমার জয় যে সকাল সন্ধ্যা মানুষ আসছেন আমার দোকানে। সর্বপ্রথম আমি চেষ্টা করি যাতে আমার খরিদ্দাররা চা খেয়ে হতাশ না হয়, আর সেটা বজায় রাখতে পারলেই আমি জয়ী, এবং আমি তাই চেষ্টা করে যাবো এমনটাই জানালেন তিনি । তাই হয়তো” নেতাজি কেবিন” সুনামের সাথে গর্বের সাথে চলছে এতদিন ধরে। আর আমি চাই সেটা বজায় থাকুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *