এবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রার্থী হোক খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুপারিশ মমতার, আর কার কার নাম ভাবছে ইন্ডিয়া জোট? বিস্তারিত জেনে নিন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ৩১ ডিসেম্বর ডেডলাইন। তার মধ্যেই আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে হবে ইন্ডিয়া জোটের শরিকিদের। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠকে। তবে আসন ভাগাভাগির থেকেও ইন্ডিয়া জোটের ভাবনা বেশি অন্য কিছু নিয়ে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো এবারও লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়েই ভেবে কূল পাচ্ছে না ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা তারকা প্রার্থীদের নাম নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। সেই তালিকায় কারা রয়েছেন জানেন?

১৯৯১ সাল থেকেই বারাণসী কেন্দ্রে বরাবর জয়ী হয়ে এসেছে বিজেপি। ব্যতিক্রম হয় শুধুমাত্র ২০০৪ সালে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশের এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হন নরেন্দ্র মোদী এবং ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী হন। এবারও সেই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে হেভিওয়েট কোনও নেতাকেই দাঁড় করানোর চিন্তাভাবনা করছে ইন্ডিয়া জোট। এই হেভিওয়েটদের তালিকায় নাম রয়েছে-

নীতীশ কুমার- এক সময়ে বিজেপির জোটসঙ্গী তথা বিহারের সাতবারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হতে পারে বারাণসী কেন্দ্র থেকে। নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে, এই জল্পনাও শোনা গিয়েছিল আগেই। যদিও তিনি সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না হলেও, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হতে পারে।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা- কংগ্রেসের প্রথম সারির নেত্রী হলেও, নির্বাচনে লড়েননি সনিয়া-কন্যা। ২০১৯ সালে জল্পনা শোনা গিয়েছিল, বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু শেষে কংগ্রেস প্রার্থী করে অজয় রাই-কে, যিনি ৫ লক্ষের বেশি ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে হেরে যান। এবারে ইন্ডিয়া জোট বারাণসী কেন্দ্র থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার নাম সুপারিশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।

অরবিন্দ কেজরীবাল- নীতীশ কুমার বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যদি বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী না হন, তবে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় অপশন হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়েছেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্র থেকেই দাঁড়িয়েছিলেন কেজরীবাল, তবে দুই লক্ষ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এবার ইন্ডিয়া জোট তাঁকে ফের নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করার ঝুঁকি নেয় কি না, তাই-ই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *