এলাকায় নাকি কোনো বেকার নেই তাঁর আশীর্বাদে, আপনিও অবাক হবেন রক্ষাকালী মাতার আরও মহিমা জানলে !

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রক্ষাকালী মায়ের আশীর্বাদে নাকি এলাকায় পুজোয় জড়িত কোনও সদস্য ও তাঁর পরিবারের লোকেরা বেকার নেই। কেউ সরকারি স্কুলের শিক্ষক। কেউ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আবার কেউ রপ্তানিকারক থেকে অন্যান্য সরকারি দফতরে চাকুরিরত। এলাকার প্রবীণদের কথায়, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় সাত দশক আগে এলাকার প্রবীণেরা শুরু করেছিলেন রক্ষাকালী মাতার পুজো। আর সেই থেকেই রক্ষা কালী মা আজ পর্যন্ত এই পুজোয় জড়িত প্রতিটি সদস্য তার পরিবারদের আশীর্বাদে ভরিয়ে তুলেছেন। স্বচ্ছ জীবন যাপন, নিরোগ শরীর, স্বনির্ভর হওয়া থেকে শুরু করে সারা বছরই খুশির মহল থাকে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের শিবাজী সংঘের মা রক্ষাকালী পুজোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের।

এমনকী রক্ষাকালী মূর্তি তৈরি থেকে পুজোর আয়োজনের সমস্ত খরচ অলৌকিকভাবেই জোগাড় হয়ে যায়। রক্ষাকালী মায়ের অফুরন্ত আশীর্বাদ পেয়েই এখন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নতুন করে মালঞ্চপল্লি শিবাজীর সংঘের কালী মন্দির তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে এই পুজোর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার যুবকেরা। স্থানীয় প্রবীণদের কথায়, ১৯৫০ সালের দিকেই মূলত এই পুজোর শুরু। সেই সময় দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এলাকারই একসঙ্গে বেশ কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে প্রবীণ ব্যক্তিত্বরা। যাদের হাত দিয়ে পুজোর শুরু হয়েছিল তাঁদের মধ্যে বীণাপাণি কর, অতুল দেব, নিমচাঁদ চৌধুরী এরকম অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু সেই পুজোর শিকড় ধরে রেখেছেন শিবাজী সংঘের মা রক্ষা কালী মন্দির কমিটি।

এই পুজোর সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছেন এমন কেউ বেকার নাকি নেই। এই পুজোকে ঘিরে অনেক ধরনের গল্প কথিত রয়েছে। কেউ বলেন, একসময় এই এলাকারই এক ডজন প্রবীণ নাগরিকদের দেবী রক্ষাকালী স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই পুজোর শুরু। আবার কেউ বলেন, বহু বছর আগে এই মালঞ্চপল্লি এলাকাটি ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল যেমন ডাকারদের অত্যাচার ছিল, ঠিক তেমনি বাঘ , ভাল্লুক , শিয়ালের মতোন বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বসবাস করতে পারতেন না।

সেই সব থেকে মুক্তি পেতেই রক্ষাকালি মায়ের আরাধনা শুরু করেন অনেকেই। তবে মা এতটাই জাগ্রত যে কাউরির মনস্কামনা অপূরণ রাখেন না। অন্তত এই রক্ষা কালী মাতার কাছে প্রাণভরে পুজো দিলেই বেকারদের কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেন স্বয়ং দেবী রক্ষাকালি মাতা। শিবাজী সংঘ মা রক্ষা কালী মন্দির কমিটির কর্মকর্তা শুভঙ্কর কর, গৌতম রায়, সুজিত ঘোষ বলেন, দেবী রক্ষাকালী মাতার পুজোকে ঘিরে নানা গল্প কথিত রয়েছে। তবে দেবী রক্ষাকালী মাতা এতটাই জাগ্রত যে, প্রাণ ভরে মানত করলে তা পূরণ হয়। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী অথবা সরকারি কর্মচারী। মা নাকি কাউকে অভুক্ত রাখেন না। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে রক্ষাকালী মাতার পুজোর আয়োজন অদ্ভুতভাবে জোগাড় হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *