কোনো দিনও যোগ দেয়নি কাজে, তবুও নাম এসেছে স্কুলে পাঠানো তালিকায়, অবাক হল সকলেই
নিজস্ব সংবাদদাতা : এসএসসি মামলায় চাকরিহারা স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে যারা অযোগ্য চিহ্নিত হয়নি সেই শিক্ষকদের নামের তালিকা রাজ্য থেকে ডিআই মারফত স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই লিস্টে থাকা শিক্ষকরা স্কুলে পড়াতে পারবেন ও বেতনও পাবেন। তবে সেই তালিকায় মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলের এমন দুইজন শিক্ষকের নাম রয়েছে যারা মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষকই নয়। বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই পড়ে গেছে। প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে অযোগ্য চিহ্নিত হয়নি এমন শিক্ষকদের তালিকাতেও কি গন্ডগোল রয়েছে? এখানেও কি ভুতুড়ে শিক্ষক ঢুকে পড়েছে?

মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ রায় সরকার জানান, ‘জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে যে তালিকা এসেছে সেখানে নবম ও দশম শ্রেণীর দুইজন শিক্ষকের নাম রয়েছে। আবার নাম রয়েছে একাদশ ও দ্বাদশের চারজনের। মোট ৬ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে আমাদের স্কুলের। কিন্তু স্কুলে বর্তমানে আছেন চারজন শিক্ষক৷ আমাদের স্কুলে অযোগ্য শিক্ষক নেই। কিন্তু একাদশ দ্বাদশের লিস্টে মহম্মদ গোলাম মোর্তজা ও সুদীপ্তা মন্ডলের নাম রয়েছে। তাঁরা কোনও দিনই স্কুলে যোগ দেননি। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের নাম কীভাবে এল বিষয়টি নিয়ে আমরা উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবো।’
তবে যে সময়ে ২০১৬ সালের এসএসসি-র শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশ রাজ্য থেকে এসেছিল, সেই সময় এই দুই শিক্ষকের নামে সুপারিশ এসেছিল কি না তা জানতে মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিত সাহাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি৷ এনিয়ে মেখলিগঞ্জের শিক্ষা দপ্তরের এআই জয়ন্ত অধিকারী বলেন, ‘কত জনের রিকোমেন্ডেশন এসেছে তা স্কুল বলতে পারবে। এই নাম গুলো রাজ্য থেকে আসে। সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিষয় বলতে পারবে।’ আর এরকমটা শুধু মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে নয় রাজ্যের একাধিক স্কুলে এরকম অনেক শিক্ষকের নাম এসেছে যারা আদতেই স্কুলের সাথে জড়িত নন। কিভাবে কি হচ্ছে বুঝতে পারছেন না কেউ।