গলায় ঝুলছে কিউআর কোর্ড, বিহারে দেখা মিলল দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল ভিক্ষুকের’
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আমরা কমবেশি কিছু শ্রেণির মানুষকে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখে থাকি ট্রেনে বাসে ভ্রমনের সময় অথবা কোনো ধর্মীয় স্থানে। এটা সচরাচর কোনো ব্যাপার-ই না। কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষ জীবন ধারণ করে থাকেন এই ভিক্ষাবৃত্তি করে। এবার এক ভিক্ষুক ডিজিটালাইজেশন করলেন সেই ভিক্ষাবৃত্তিকেই গোটা দেশে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে যা নিয়ে ।এমন ঘটনা ভাইরাল হয়েছে যা আপনাকে কেবল অবাক নয়, সেই সঙ্গে আপনাকে অনুপ্রাণিতও করবে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যাপারে । সম্প্রতি দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল ভিক্ষুকের’দেখা মিলল বিহারের বেত্তিয়া রেলওয়ে স্টেশনে,যার নাম রাজু প্যাটেল।
বিহারের বেত্তিয়া রেলওয়ে স্টেশনে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করেন। একটি কিউআর কোড ঝোলানো রয়েছে এমনকি তাঁর গলায়। তাঁর অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে কোড স্ক্যান করলেই। কেন এমন চিন্তা? উত্তরে রাজু জানিয়েছেন, তিনি স্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন অনেক বছর ধরেই। কিন্তু অনেক সময় লোকেরা তাঁকে এড়িয়ে চলে যান খুচরো নেই এই অজুহাতে। এই কোড গলায় ঝোলানো থাকলে যার যেটুকু ক্ষমতা টাকা দিতে পারবেন সেই অনুসারে, সেই সঙ্গে লেনদেনও কম হবে নগদের । কমবে ঝক্কিও।
একই সঙ্গে তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একজন বড় ভক্ত তিনি। তিনি তাঁর থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যাপারে। এবং তিনি মিস করেন না প্রধান মন্ত্রীর মন কী বাত অনুষ্ঠানের একটি এপিসোডও। রাজ্যের নেতা হিসাবে তাঁর পছন্দের তালিকায় প্রথম লালু প্রসাদ যাদব । রাজু জানান, স্টেট ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রধান শাখায় তার একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর তিনি প্যান কার্ডও করেছেন তার জন্যই। এদিকে অনেকেই তাজ্জব হয়েছেন এমন ডিজিটাল ভিক্ষুকের কথা শুনে।