চিকিৎসার নামে অ্যানাস্থেশিয়ার ওভারডোজ ! স্ত্রী খুনে অবশেষে গ্রেফতার হল ১ অভিযুক্ত ডাক্তার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্ত্রীর খুনের ঘটনায় ছ’মাস পর গ্রেফতার চিকিৎসক স্বামী ৷ দম্পতির বিয়ের এক বছরও সম্পূর্ণ হয়নি ৷ তার মধ্যে চিকিৎসার অছিলায় সুপরিকল্পিত উপায়ে বারবার অ্যানাস্থেশিয়ার ডোজ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠলো এক সার্জনের বিরুদ্ধে ৷ কর্ণাটকের মারাঠাহাল্লির পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি হাসপাতালের আবাসিক সার্জন চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি ৷ তাঁর স্ত্রী কৃতিকা রেড্ডি ত্বক বিশেষজ্ঞ ৷ স্ত্রীর চিকিৎসা করার নামে তাঁকে অতিরিক্ত অ্যানাস্থেশিয়ার ডোজ দিয়েছিল চিকিৎসক স্বামী ৷ তার ফলে স্ত্রীর শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং তাঁর মৃত্যু হয় ৷ অভিযুক্ত স্বামী এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ গত বছরের মে মাসে তাঁদের বিয়ে হয় ৷ কিন্তু সার্জন চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি স্ত্রী কৃতিকার শারীরিক সমস্যা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিল ৷ বিয়ের আগে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা স্ত্রীর বাড়ির তরফে চিকিৎসককে জানানো হয়নি ৷ এনিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল মহেন্দ্রর মনে ৷

গত ২৪ এপ্রিল অভিযুক্ত সার্জন তাঁকে নিকটবর্তী মুন্নেকোলালুর আয়াপ্পায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানে সে জানায়, স্ত্রীর শরীর ভালো নেই ৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৷ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরু শহরের পুলিশ কমিশনার সীমন্থ কুমার সিং জানান, এই ঘটনার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রিপোর্ট ফাইল করা হয় ৷ জানানো হয়, ত্বক বিশেষজ্ঞের মৃত্যু রহস্যময় ৷ তিনি বলেন, “এপ্রিল মাসে মারাঠাহাল্লি থানা এলাকায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর আসে ৷ তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য রয়েছে বলে জানানো হয় ৷ এদিকে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ পুলিশ সব প্রমাণ সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠায় ৷”

পুলিশের বিশেষ দল ক্যানুলা সেট থেকে শুরু করে ইনজেকশনের টিউব এবং অন্য সব চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে ৷ সেগুলি তদন্তকারী আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ একই দিনে তদন্তকারী আধিকারিকরা দেহ থেকে ভিসেরার নমুনা সংগ্রহ করে ৷ মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত পেতে এই নমুনা এফএসএল-এ পাঠানো হয় ৷ এরপরও অভিযুক্ত চিকিৎসক তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে চাপ দিতে থাকে, যাতে তারা পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করে ৷ ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই বলেও জোর দেয় ৷ কিন্তু পুলিশ ময়নাতদন্ত করে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *