ছাত্রীর গলায় অস্ত্রের কোপ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে, হাড় হিম কাণ্ড ক্লাস চলাকালীন !

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ক্লাস চলাকালীন এক ছাত্রীকে ডেকে চাকু দিয়ে গলায় কোপ মারার অভিযোগ প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হামলাকারী ওই প্রাক্তনী চাকু দিয়ে নিজের গলা কেটেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকেই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। দু’জনেরই অবস্থা সংকটজনক বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র সিসি ক্যামেরা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একজন প্রাক্তনী অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর পরে তদন্ত শুরু পুলিশের। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ছাত্রীর বাড়ি অসমে তিনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক বিভাগের স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই মেস ভাড়া করে থাকে ওই ছাত্রী। হামলাকারী প্রাক্তনী ফিজিক্স নিয়ে কয়েক বছর আগেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছে। তার বাড়ি মালদার রতুয়া থানার সম্বলপুর এলাকায়।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনেই ছাত্রীর উপর হামলা এবং নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রাক্তন ওই পড়ুয়া। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কর্মী তথা প্রত্যক্ষদর্শী সুমিতা সরকার বলেন, “ঘটনার সময় আমি বিজ্ঞান ভবন দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময় দেখি এক যুবক অপর এক ছাত্রীর সাথে ঝগড়া করছে এরপরই হঠাৎ চাকু নিয়ে গলায় কোপায় ওই ছাত্রীর। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এরপরই ওই যুবক নিজের গলা কাটে। এই দৃশ্য দেখে আমি চিৎকার শুরু করে দিই। আমার চিৎকার শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তাই আহতদের সঙ্গে সঙ্গে ওদেরকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় ডেপুটি রেজিস্টার রাজীব পুতুতুন্ডু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে। একজন ছাত্রী জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি একজন প্রাক্তন ছাত্র জখম হয়েছে বলে শুনেছি। ঠিক কী কারণে এটা ঘল তা এখনও জানা যায়নি। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো নেই। বাকি বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।” প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণের জেরেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত প্রাক্তন পড়ুয়ার সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *