জলের দরে সান্দাকফু ঘুরে যান নির্বিঘ্নে- এমনই বিজ্ঞাপন ছেয়ে গেলো নেটপাড়ার সমাজ মাধ্যমে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : জলের দরে সান্দাকফু ঘুরে যান নির্বিঘ্নে- এমন বিজ্ঞাপন ছেয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। আর তাতে সাড়া দিয়েই সান্দাকফুর ট্রেক রুটে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়। দার্জিলিংয়ের কিছু স্বঘোষিত পর্যটন ব্যবসায়ী সান্দাকফুকে সামনে রেখে এই ব্যবসা চালু করেছেন। অনেকেই এটাকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন।তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল , নেটপাড়ার এই প্রচারে সাড়া দিয়ে পর্যটকের ঢল নামছে সান্দাকফুতে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যাঁরা ট্রেকার, তাঁরা ভারতীয় রুট বর্জন করে বেছে নিচ্ছেন নেপাল রুট। এর জেরে দার্জিলিং যেমন তার গৌরব হারাচ্ছে, তেমনই লাভের গুড় খাচ্ছে নেপাল।

এদিকে উত্তরের পর্যটন এখন সমাজমাধ্যম নির্ভর হয়ে উঠেছে , এই অভিযোগ উঠছে গত কয়েক বছর ধরে। সস্তার প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরাও। স্বল্প খরচে সান্দাকফু বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করতে চাইছেন না পর্যটকদের বড় অংশ। তাঁদের ভিড়ে বিপদ বাড়ছে সান্দাকফুতে। পর্বতশিখরটি যে দিঘা-মন্দারমণি নয়, এমনকি দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলের থেকেও যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।

মাঝপথে গাড়ি ঘোরাচ্ছে : ট্রেকিংয়ের কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ছুটে আসছেন সান্দাকফু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের জন্যে। তবে টংলু, গৈরিবাসের মতো জায়গাগুলিতে পৌঁছে তাঁরা বুঝতে পারছেন, বিপদ রয়েছে পদে পদে। এক ল্যান্ডরোভার চালক বলেন , ‘যাঁদের পাহাড়ে চড়ার অভ্যাস নেই, তাঁদের তো সমস্যা হবেই। অনেকেই মাঝপথ থেকে গাড়ি ঘুড়িয়ে নিতে বলেন।’সমাজমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই যে সান্দাকফু ছুটে আসছেন, তাও স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে দার্জিলিংয়ের অনেক পর্যটন দপ্তর এর তরফ থেকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *