দশমীর বিদায়বেলায় সামনে এলো এক সম্প্রীতির নজির , দুর্গাকে আলো দেখালেন স্থানীয় ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ৪০০ বছর পুরনো রীতি আজও পালন হয় অক্ষরে অক্ষরে। দুর্গার বিদায়বেলায় আলো দেখান এলাকার ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। সম্প্রতির এই অনুরণন মালদহের চাঁচলে। সেখানে প্রতিবছরের ন্যয় এই বছরও দেখা গেল একই ছবি। ‘প্রতীকী’ লন্ঠন হাতে আলো দেখালেন মুসলিমরা।বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁচলের পাহাড়পুরের মহানন্দার ঘাটে দুর্গা বিসর্জনে জড়ো হয়েছিলেন পুজো উদ্য়োক্তরা। দশমীর আনন্দে আত্মহারা স্থানীয়রা। ঘাটের চারপাশ জুড়ে থিকথিকে ভিড়। আর সেই ভিড়ের মাঝেই দেখা গেল সম্প্রীতির ছবি। বিদায় বেলায় দুর্গা প্রতিমাকে লন্ঠন দেখালেন স্থানীয় ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা।

এদিকে স্থানীয়রা জানান , ৪০০ বছর আগে দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশের পর থেকেই এক মুসলিম ব্যক্তির হাত ধরে আগামী প্রজন্মগুলির মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়ে এই রীতি। কেউ কেউ বলেন, সেই সময় ওই মহাননন্দা লাগোয়া শাওরগাছি গ্রামে দেখা গিয়েছিল বিরাট মহামারি। প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। গ্রাম কার্যত হয়ে গিয়েছিল জনশূন্য। ওই সময় দেবী দুর্গা ‘স্বপ্নাদেশে’ এক মুসলিম ব্যক্তিকে তাঁর বিদায়বেলায় লন্ঠনের আলো দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে চাঁচলের মহানন্দা ঘাটে প্রতিবছর পালন হয়ে আসছে এই ‘অলিখিত’ নিয়ম। এদিন এক পুজো উদ্য়োক্তা বলেন, ‘চাঁচলের রাজা রামচন্দ্র রায় বাহাদুরের হাত ধরে শুরু হওয়া এই পুজো ৪০০ বছরে পা দিয়েছে। আর সেকাল থেকে একাল আজও একটা ছবি স্পষ্ট। তা হল সম্প্রীতি। ধর্মের ঘেরাটোপ পেরিয়ে নদীর ওপারের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ দেবীকে বিদায়বেলায় লন্ঠনের আলো ধরলেন। এই সম্প্রীতি দেখার মতো।’