দুর্গাপুরে গণধর্ষনের শিকার হল ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া যুবতী ! ৫ অভিযুক্তের খোঁজে চলছে ব্যাপক তল্লাশি

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার রেশ কাটেনি ৷ এর মাঝেই ফের চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৷ এবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ৷ তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে শুক্রবার রাতে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস বাইরে ঘুরতে যান ওই তরুণী ৷ অভিযোগ ওই ছাত্রী ও তাঁর সঙ্গী দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন মোহনবাগান অ্যাভিনিউ রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন ৷ অন্ধকারে সেখানেই পাঁচজন ছেলে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরে। সেখানেই তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর পরিবারের। সেই সময় ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গীও পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। পরে ওই সঙ্গীই আবার ওই এলাকায় এসে অসুস্থ দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি করেন বলেও জানা গিয়েছে।

নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, পাঁচজন তাঁকে ধর্ষণ করেছে ৷ এরা সকলেই তাঁর অপরিচিত বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা ৷ এই ঘটনার রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শহরে। দুর্গাপুরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ রয়েছে। ভিন রাজ্যের বহু ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজগুলিতে পড়াশোনা করতে আসে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দুর্গাপুর এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার মোহনবাগান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকাটি জঙ্গল ঘেরা। রাতে এই এলাকা একেবারেই নির্জন থাকে ৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে নির্যাতিতা তরুনীর পরিবারের দাবি। এই মুহূর্তে বেসরকারি যে মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণী এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিল সেখানেই চিকিৎসাধীন ৷

ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। তবে কেন তাঁর সহপাঠী ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে রাতে নির্জন মোহনবাগান অ্যাভিনিউতে নিয়ে গিয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি ৷ এছাড়াও, ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণে অভিযুক্ত পাঁচজনের পরিচয়, ওই পাঁচজন যখন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় তখন তাঁর সহপাঠীর ভূমিকা কী ছিল, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *