বন্ধ আউট ডোর , চিকিৎসকরা লিফটের সামনে বসে রোগী দেখলেন চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর-কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে চিকিৎসক মহল। লাগাতার চলছে কর্মবিরতি। হাইকোর্ট গতকাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেছে। যদিও, আরজি করে কর্মবিরতি চলছে। আর তার আঁচ পড়েছে জেলা হাসপাতালেও।
চুঁচুড়া ইমামবাড়া হুগলি জেলা হাসপাতালে গতকাল এক ঘন্টার পেন ডাউন করেন চিকিৎসকরা। সেখানেই ঘোষণা করেন আজ থেকে ওপিডি বন্ধ থাকবে। জুনিয়ার চিকিৎসকরা কাজ করছেন না। হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা চালু আছে। পাশাপাশি কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক হাসপাতালের লিফটের সামনে বসে রোগী দেখছেন। আউট ডোর বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন।
সুলেখা দাস নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “চিকিৎসা করাতে এসে দেখছি আউটডোর বন্ধ।আমরা জানতাম না যে আজ বন্ধ থাকবে।” আরও এক রোগীর আত্মীয় রুমকি পাকড়ে বলেন, “এক সংকটজনক রোগীকে নিয়ে এসেছি। আউটডোর থেকে টিকিট দিল কিন্তু জানায়নি এমন অবস্থা আছে। রোগীকে বাড়িতে রাখার মত না।”
কিডনির সমস্যা নিয়ে আসা রোগী আলো মণ্ডল জানান,”অনেক দূর থেকে হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে এখন দেখছি ডাক্তার আসেনি। লাইনে দাঁড়িয়ে মাথা ঘুরছিল একজন চেয়ার দেয় বসার জন্য। কালকে কিডনির সমস্যার জন্য ছবি করে গিয়েছিলাম সেটা ইনফেকশন হয়েছে।”
যদিও রোগীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে এক সিনিয়ার চিকিৎসক হেমন্ত লাল সমাদ্দার বলেন,”কোথায় ফিরে যাচ্ছে আমরা তো সকলকে দেখে দিচ্ছি। আমাদের পরিষেবা আমরা দিচ্ছি। যদি সমস্ত ডিপার্টমেন্টের সব ডাক্তার একসঙ্গে চিকিৎসা করতে পারছে না। আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্টে রোগী না দেখে সেটা একসঙ্গে দেখা হচ্ছে। যদিও ওপিডির ঘরগুলি বন্ধ রয়েছে,কিন্তু ওপিডির কাজটা চালু রয়েছে। জুনিয়ররা কেউ কাজে আসছেন না।”
জুনিয়র চিকিৎসক দীপান্বিতা দাস বলেন,”চুঁচুড়া হাসপাতালের যে সমস্ত ইন্টার্নাল সমস্যা রয়েছে সেগুলি জানাতেই আমরা গতকাল সি এম ও এইচ অফিসে গিয়েছিলাম। আমাদের সেফটি সিকিউরিটি রুম, অন কল এগুলি দেখার জন্য বলেছিলাম সে কারণেই আজ তিনি পরিদর্শনে এসেছিলেন।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী মৃগাঙ্ক মৌলি কর বলেন, “ওপিডি চলছে, চিকিৎসকাও পরিষেবা দিচ্ছেন। কিছু কিছু ঘর বন্ধ রয়েছে, কিছু চিকিৎসকরা এক জায়গায় বসে দেখছেন । কাউকে ফেরানো হচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের থাকার অসুবিধা আছে সেটা কোথায় কিভাবে ঠিক করা যায় সেটাই দেখা হয়েছে। তাদের যে দাবিগুলি রয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে।”