বাতিল হল ইউজিসির নেট পরীক্ষা,সুযোগ পেতেই আক্রমণাত্মক বিরোধীরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাতিল ইউজিসি নেট পরীক্ষা। পরীক্ষা হওয়ার একদিনের মধ্যেই বাতিল হয়ে গেল নেট পরীক্ষা। এনটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম শাখায় আসা একাধিক কারচুপির অভিযোগের ভিত্তিতেই নেট পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, নেট পরীক্ষা বাতিল হতেই ফের একবার উঠল ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা, নিট-ইউজি বাতিলের দাবি। বিরোধীদের দাবি, বেনিয়মের আশঙ্কায় যদি ইউজিসি নেট পরীক্ষা বাতিল করা হয়, তবে নিট পরীক্ষা কেন নয়? এই পরীক্ষায় তো আরও বেশি বেনিয়মের অভিযোগ।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই ইউজিসি নেট পরীক্ষা হয়। এর একদিন পরেই, বুধবার শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে নেট পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিসিস ইউনিট কিছু সন্দেহজনক তথ্য দিয়েছে, যার ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে যে পরীক্ষায় বেনিয়ম হয়েছে। এই কারণেই নেট পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
বাতিল হওয়া নেট পরীক্ষা ফের নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে সেই পরীক্ষা কবে হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।এদিকে, কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে কটাক্ষ করে বলেন, “আপনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনেক করেন, কবে ‘নিট পে চর্চা’ করবেন? ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিল লক্ষাধিক ছাত্রীর জয়, এটা মোদী সরকারের ঔদ্ধত্যের পরাজয়, যারা যুবসমাজের ভবিষ্যত নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।”তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আগে বলেছিলেন যে নিট-এ কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। যখন বিহার, গুজরাট ও হরিয়ানা থেকে শিক্ষা মাফিয়াদে গ্রেফতার করা হল, তখন শিক্ষামন্ত্রী স্বীকার করলেন যে কোথাও কোথাও দুর্নীতি হয়েছে। নিট পরীক্ষা কবে বাতিল হবে?”
কার্তি চিদাম্বরমও এক্স হ্যান্ডেলে নিট পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে পোস্ট করেন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা লেখেন, “বিজেপি সরকারের অবহেলা ও দুর্নীতি যুব প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিট পরীক্ষায় দুর্নীতির খবরের পর এবার ১৮ জুন হওয়া নেট পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেল বেনিয়মের ভয়ে। এবার কি শিক্ষামন্ত্রী দায় স্বীকার করবেন?”
আম আদমি পার্টির তরফেও বলা হয়, “অযোগ্য বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে একটাও পরীক্ষা রিগিং বা প্রশ্নপত্র লিক হয়ে যাওয়া ছাড়া হয় না। দেশের ভবিষ্যতের ক্ষতি করছে সরকার। প্রতিদিন কোটি কোটি পড়ুয়ারা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। প্রথম স্থানাধিকারীদের ফুল মার্কস পাওয়া থেকে শুরু করে গ্রেস নম্বর নিয়ে হাজারো প্রশ্ন উঠেছে। চাপে পড়েই গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পরীক্ষার মার্কশিট বাতিল করা হয় এবং তাদের পুনরায় পরীক্ষার ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বিতর্ক থামেনি।