বিপুল পরিমান লাভ মিলছে ভাসমান সবজি চাষে , অবশেষে সুন্দরবনের চাষিরা দেখছেন আয়ের মুখ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কুলতলির পর সুন্দরবনের গোসাবা। ভাসমান সবজি চাষ করে আয়ের মুখ দেখছেন সুন্দরবনের গোসাবার চাষিরা। জানা গিয়েছে, গোসাবা এলাকার খালগুলির বেশ কিছুটা অংশে ভাসমান পদ্ধতিতে নানা ধরনের আনাজ চাষ করেছেন চাষিরা। প্রতি বছরই নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে সুন্দরবনের আশেপাশের অঞ্চলে। অনেক সময়ে নদীবাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়ে যায় গোটা গ্রাম। চাষের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জমির নোনা ভাব কাটিয়ে নতুন করে ফসল তৈরি করতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এগিয়ে এসেছে গোসাবা ব্লকের আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েত। বেসরকারি একটি সংস্থার সহযোগিতায় তারা বেশ খানিকটা এলাকায় শুরু করেছে এই ভাসমান সবজি চাষ। প্রায় তিন বছর আগে এই চাষ শুরু হয়েছিল। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলেও এই পদ্ধতিতে চাষ অনেকের পছন্দ হওয়ায় চাষিরা নিজেরাই ওই বেসরকারি সংস্থা ও আমতলি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আশেপাশের জলাশয়ে এই চাষ শুরু করেছেন। স্থানীয় চাষিরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে চাষ খুবই সহজ। ঝামেলা অনেক কম। তাই গত বছর থেকে চাষ শুরু করেছি। বাড়ির পুকুরেই অনেকে চাষ করছেন।
এদিকে বেসরকারি সংস্থার তরফে বলা হয়, যাঁদের চাষের জমি নেই, কিন্তু বাড়িতে পুকুর রয়েছে তাঁরাও এই চাষে এগিয়ে এসেছেন। নিজের বাড়ির পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি আনাজ চাষ শুরু করেছেন অনেকে। নোনা জমির কারণে যাঁরা চাষ করতে পারেন না, তাঁদের বিকল্প পদ্ধতিতে চাষের খোঁজ দিতেই এই ভাসমান চাষের উদ্যোগ। মূলত প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে জলের উপরে মাচা তৈরি করে এই চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে চাষে ফলনও বেশ ভাল হয় বলে দাবি চাষিদের। এর আগে কুলতলিতে এই ভাসমান সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছে এলাকার চাষিরা। একে একে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় এই পদ্ধতির চাষ বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।