বেড়াতে যাওয়া প্ল্যান করছেন! কলকাতার কাছের এই জায়গাগুলি ঘুরে নিতে পারেন
বেস্ট কলকাতা নিউজ: সামনেই ক্রিস্টমাস, তার আগে অনেকেই এখন ব্যস্ত বর্ষ শেষের উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার প্ল্যানিং-এ। নিত্যদিনের ঝুটঝামেলার জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র রাস্তা বেড়াতে যাওয়া! আর যেকোনও উৎসব-পার্বনে ছুটি পেলেই বাঙালির ভ্রমণ পিপাষু মন উস্কে যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কলকাতার কাছাকাছি ট্রাভেল ডেস্টিনেশনের খোঁজ খবর।
শান্তিনিকেতন: বীরভূমের রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতন ক্রিস্টমাসের সময়ে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। ২৩ ডিসেম্বর বা ৭ পৌষ থেকে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে শুরু হয় পৌষ মেলা। মূল মেলা ৩ দিন ব্যাপী চললেও, গোটা মেলা এক সপ্তাহব্যাপী চলে। এছাড়াও শান্তিনিকেতনের আশপাশে খেয়াইয়ের হাট ও কঙ্কালিতলার মতে একাধিক জয়গা রয়েছে দেখার জন্য।
বকখালি: অনেকেই ছুটির ক’টাদিন কাটাতে চান একটু নিরালায়। তার জন্য় বকখালি সেরা ডেস্টিনেশন। সমুদ্র সৈকতের নিবিড় সৌন্দর্যে হেনরিজ আইল্যান্ড এখানের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই জায়গায় সৈকতের লালকাঁকড়াও কম আকর্ষণীয় নয়!
পুরুলিয়া: কলকাতার কাছে অন্যতম সেরা ট্রাভেল ডেস্টিনেশন পুরুলিয়া। এখানের অযোধ্যা থেকে বরন্তী,সমস্ত জায়গাতেই মিশে রয়েছে গ্রাম্য সাবলীল জীবনধারা। যা শহুরে কংক্রিটের দুনিয়াক ক্লান্তিকে ভুলিয়ে রাখতে সক্ষম।
মুর্শিবাদ: বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদদৌল্লার স্মৃতিবিজড়িত মুর্শিদাবাদের অন্যতম আকর্ষণ হাজারদুয়ারি।এই রাজমহলের প্রতিটি ইঁট যেন বলে যায় অজানা বহু ইতিহাস। হাজারদুয়ারি ছাড়াও ইমামবাড়া, মদিনা মসজিদ, , নবাব ওয়াসিফ আলি মির্জার নিউ প্যালেস, ঘড়ি ঘর, বাচ্চেওয়ালি তোপ পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মায়াপুর: নদীয়ার মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরের নাম জগদ্বিখ্যাত। দেশ বিদেশ থেকে এখানে অনেকেই ভিড় করেন । উল্লেখ্য, এই মন্দিরে থাকা ও খাওয়ারও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা আগে থেকে বুক করতে হয়।
ইমামবাড়া: হুগলির ইমামবাড়ির খ্যাতিও কিছু কম নয়। হাজিমহম্মদ মহসিনের স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্বের সঙ্গে মিশে রয়েছে ইমামহবাড়ির ঘড়ির বিশেষত্ব। শীতের ছুটিতে হুগলির ইমাম বাড়ি থেকে হংশেশ্বরী মন্দির , কিংবা ব্যান্ডেলচার্চে বেড়ানোর প্ল্যানও মন্দ নয়!