মানুষের জন্যই শুধু নয়, পশুদের জন্য আছেন তিনি, আর কেউ নন তিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা সুকেশ চন্দ্র দে
নিজস্ব সংবাদদাতা : রান্না করতে ভালোবাসেন তিনি, রান্না করে খাওয়াতেও ভালবাসেন তিনি তার নাম সুকেশ চন্দ্র দে। শুধু মানুষের জন্য নয়, সন্ধ্যাবেলা সময় নিয়ে রান্না করেন পশুদের জন্য। এমনি একটু রাগী তিনি, তবে মনটা বড় উদার। অন্তত পাড়া-প্রতিবেশীরা বলেন তাই। সকাল থেকে সন্ধ্যা রান্না করে আমি মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসি। আর এটাই হলো আমার জীবনে সবচাইতে বড় করব। ভগবান বলে গেছেন কর্মই ধর্ম, আর আমি সেই কাজটাই করে যাই। রান্নার হাতটাও তার বেশ ভালো, অন্তত তার হাতে যারা রান্না খান তারাও তাই বলেন। নিজের ছেলের নামে ক্যাটারিং এর ব্যবসা আছে তার নাম ” সঞ্জয় ক্যাটারার “। তার হাতের রান্না খেতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, একদিকে যেমন তিনি মানুষকে খাওয়ান সন্ধ্যাবেলা এবং রাত্রিবেলা তিনি কুকুরকেও খাওয়ান কুকুরকে বললে ভুল হবে কুকুরদের খাওয়ান।

তিনি জানান রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে এইসব পশুদের যখন খিদে পায় তখন ওদের খেতে দেওয়ার জন্য লোক খুব কম থাকে, বিশেষ করে করোনার পর রাত্রে বিশেষ লোক থাকে না বললেই চলে। আমি যতটুক পারি চেষ্টা করে যাই। ওদের জন্য কিছু করতে, ওদেরকে খাওয়াতে। আর এটাতে আমার মন ভালো হয়ে যায়। বলতে পারেন ভালো থাকে। শুধু কুকুর নয় কুকুর বিড়াল এমনকি পশু মানে অন্যান্য পশু পাখিদেরও খাওয়ান তিনি। যার যেটা খাবার আমি আমার সামান্য উপার্জনের মধ্য দিয়ে করতে চেষ্টা করি । বলতে পারেন ওরাও আমার পরিবার, সবাইকে নিয়ে চলতে পারলে তো আনন্দই হয় জানালেন সুকেশ দে। এভাবেই চলতে চলতে এগিয়ে যেতে চাই আমি। তবে ভাববো আমার জীবন সার্থক জানালেন ।
এদিকে সন্ধ্যাবেলা তার হোটেলের সামনে গেলে দেখা যাবে কুকুরদের জন্য খাবার তৈরি করছেন তিনি, তিনি জানান এখন তৈরি করলে নটা থেকে সাড়ে নটার মধ্যে ওরা খেতে পারবে। আর এভাবেই আমি রোজ করে যাই, আমি কারো কাছ থেকে কোন সাহায্য নেই না, বা বলতে পারেন সাহায্য চাই না। যদি নিজের ক্ষমতায় যতদিন করতে পারি করবো তারপর বন্ধ করে দেব, তিনি জানান পশুদের আশীর্বাদ আছে আমার সাথে। আর এটাই আমার পুরস্কার।

