মারাত্মক ভয়ংকর প্রবণতা’, WHO সতর্ক করল দু’বারে দু’রকম টিকা নেওয়া নিয়েও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রথম ডোজ কোভিশিল্ড , দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাক্সিন। কিংবা প্রথম ডোজ কোভ্যাক্সিন, দ্বিতীয় ডোজ কোভিশিল্ড। অনেকেই মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন টিকার চরম সংকটের মধ্যেও। আবার কোথাও কোথাও এই ধরনের টিকা দেওয়াও হয়েছে ভুল করেই। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন বিপজ্জনক আখ্যা দিলেন এই মিশ্র টিকা নেওয়ার প্রবণতাকেই। তিনি আরও বলছেন, মিশ্র টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছু জানা নেই নিশ্চিত ভাবে। এই সংক্রান্ত মেলেনি কোনও তথ্যপ্রমাণও। তাই ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে মিশ্র টিকা নেওয়াটা।
মিশ্র টিকা প্রসঙ্গে ডা. স্বামীনাথনের মত, মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন এমনকি ‘বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অনেকে প্রশ্ন করছেন, এক সংস্থার কাছ থেকে প্রথম টিকা নেওয়ার পর অন্য সংস্থার থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন কি না। মিশ্র টিকা নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে নেই। তাই চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে এই প্রবণতা।’ WHO’র প্রধান গবেষকের মতে যেহেতু কোনও গবেষণালব্ধ সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে, তাই ভাল এ নিয়ে না এগোনোই।
করোনার প্রকোপ রুখতে মিশ্র টিকা দেওয়া যায় কিনা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন। অনেক গবেষকেরই আবার দাবি, দুটি আলাদা সংস্থার টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয় একই টিকার দুই ডোজের তুলনায়। ইতিমধ্যেই জার্মানিতে আবার মিশ্র টিকা নেওয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। সেদেশের চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল সাধারণ মানুষকে উতসাহিত করার জন্য নিজে দুটি ভিন্ন সংস্থার টিকা নিয়েছেন। এদেশেও চিন্তাভাবনার স্তরে আছে মিশ্র টিকাদানের ব্যাপারটিও। তবে আগামী দিনে এইমসের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া মিশ্র টিকা ব্যবহারের সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে বেশ তাত্পর্যপূর্ণ WHO’র প্রধান বিজ্ঞানীর এই মন্তব্য।