মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিকটে এয়ারগান-সহ আটক হল ১ স্কুলশিক্ষক, প্রশ্নের মুখে পড়লো নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে অস্ত্র-সহ আটক হলেন এক প্রৌঢ়৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে৷ এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে অস্ত্র-সহ কীভাবে কেউ চলে এল, উঠেছে সেই প্রশ্ন৷ তাহলে কি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক থেকে গিয়েছিল! কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এদিন বিকেলে কালীঘাট চত্বরে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়৷ ওই ব্যক্তি বারবার কালীঘাট রোড ও হাজরা রোডের সংযোগস্থলে ঘোরাফেরা করছিলেন৷ তাঁর কাছে একটি ব্যাগ ছিল৷ বিষয়টি সন্দেহ হয় পুলিশের৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করা হয় নিয়ে যাওয়া হয় কালীঘাট থানায়৷ তাঁকে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তল্লাশি চালানো হয় তাঁর ব্যাগে৷ সেই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি এয়ারগান৷ তাতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে৷ তখন ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়, এয়ারগান কোথা থেকে এল? কেন তিনি ব্যাগে এয়ারগান নিয়ে ঘুরছিলেন? কী উদ্দেশ্যে তিনি কালীঘাট চত্বরে এসেছিলেন?

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে ওই প্রৌঢ়ের নাম দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর বয়স ৫১ বছর৷ তিনি সল্টলেকের বাসিন্দা৷ পেশায় স্কুলশিক্ষক৷ তাঁর কাছে যে এয়ারগান ছিল, তা বৈধ৷ তিনি পুলিশকে সেই সংক্রান্ত সব নথিও দেখান৷ তিনি পুলিশকে জানান যে তিনি শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের সদস্য৷ শুটিং প্র্যাকটিসের জন্যই তিনি অস্ত্র বহন করছিলেন৷ পুলিশ তাঁর দাবি খতিয়ে দেখে৷ তার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এদিকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, “তিনি ইংরেজি একটি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি সল্টলেকে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷” তবে ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এত কাছাকাছি এলাকায় কেউ এভাবে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে পারলে সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়।