মুম্বইয়ে রেল লাইনের ধারে মিললো বাংলার শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ, কফিন ফিরল সন্দেশখালির বাড়িতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এসআইআর আবহে ফের ভিন রাজ‍্যে উদ্ধার হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ। এবার মুম্বইয়ে রেললাইনের ধার থেকে মিলল শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃতের নাম মোস্তাফা মিস্ত্রি। অবশেষে এদিন মুম্বই থেকে তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরেছে সন্দেশখালির গ্রামের বাড়িতে। ওই শ্রমিকের মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখে সেখানকার রেল পুলিশ। খুন না দুর্ঘটনা তা নিয়ে রীতিমতো তৈরি হয়েছে রহস্য! তবে, প্রাথমিকভাবে একে দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শ্রমিকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মুম্বইয়ের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বসিরহাট জেলা পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

জানা গিয়েছে, বছর ২০ -র মোস্তফার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের দুর্গামণ্ডপ এলাকায়। বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে ছ’মাস আগে মোস্তফা পাড়ি দেন সুদূর মুম্বইয়ে। সেখানে তিনি ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর পরিবারের দাবি, ‘কর্মস্থলে বাংলায় কথা বলায় বারবার তাঁকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। ‘এমনকী ওই যুবককে বাংলাদেশি বলে অপমানও করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। সেই অপমান সহ‍্য করতে না পেরে যুবক তাঁর বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো দশ দিন আগে মুম্বইয়ের ভাড়া বাড়ি থেকে তিনি বেরিয়ে ছিলেন ট্রেন ধরবেন বলে। কিন্তু, রেলস্টেশনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ।

এদিকে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হাসপাতালে। এর পরেই গোটা ঘটনাটি জানতে পারেন নিহত যুবকের পরিবার। স্বভাবতই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কিন্তু, ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে হঠাৎ যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ রেললাইনের ধারে মিলল কীভাবে?তাঁকে কী কেউ নিয়ে গিয়েছিল?নাকি আত্মহত্যা করতে বলে নিজেই পৌঁছেছিল মুম্বইয়ের স্টেশনের রেললাইনে?এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এই মৃত্যুর নেপথ্যে দুর্ঘটনার তত্ত্বই খাঁড়া করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *