রানাঘাট-বনগাঁ রেলপথ প্রকল্প, বরাদ্দ হল ৩৯৬ কোটি টাকা , দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানালো নিত্যযাত্রী থেকে ব্যবসায়ী সকলেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রানাঘাট–বনগাঁ রেলপথে দ্বিতীয় লাইন বসানোর জন্য বরাদ্দ ৩৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ায় খুশির হাওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে। বহুদিন ধরেই এই রুটে ট্রেন চলাচলে দেরি ও ক্রসিং সমস্যায় ভুগছিলেন নিত্যযাত্রী থেকে ব্যবসায়ী সকলেই। শেষ পর্যন্ত প্রকল্প অনুমোদনের খবরে যাত্রীরা খুশি। তবে যাত্রীদের একাংশের দাবি, কেবল বরাদ্দ নয়, অতি দ্রুত কাজ শুরু করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা জরুরি। কারণ অতীতে বহু প্রকল্প আর্থিক বরাদ্দের পরেও দীর্ঘদিন আটকে থাকার উদাহরণও রয়েছে।

এদিকে নদীয়া জেলা তো বটেই, শিয়ালদহ ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশন রানাঘাট। এরমধ্যে রানাঘাট-বনগাঁ লাইন অন্যতম। যদিও বর্তমানে এই সেকশনে রয়েছে একটিমাত্র রেললাইন। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। কিন্তু, এই রেলপথে অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রতিদিনই ট্রেন চলাচলের বিলম্ব হয়। পূর্ব রেলের তথ্য অনুযায়ী, এই রুটে ট্রেন চলাচলের চাপ প্রায় ১১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। সম্প্রতি আবার রানাঘাট-বনগাঁ এসি লোকাল চালু হয়েছে। ফলে অনেক সময়ই গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীদের দেরি হচ্ছে। দ্বিতীয় লাইন চালু হলে সেই সমস্যা অনেকটাই কাটবে বলে আশা করছেন রেল আধিকারিকরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় রানাঘাট থেকে বনগাঁ পর্যন্ত মোট ন’টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ হবে। পাশাপাশি মাঝেরগ্রাম ও গোপালনগর সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হবে দুটি নতুন লিমিটেড হাইট সাবওয়ে। দ্বিতীয় লাইন চালু হলে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও এই সেকশনে বাড়ানো যাবে বলে আশাবাদী রেল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে প্রায় ০.৮৮ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ সম্ভব হবে। তাতে রেলের বার্ষিক আয় কয়েক কোটি বাড়বে।
রেলওয়ে বোর্ডের অনুমোদন পাওয়ার পর এখন নজর কাজের গতির দিকে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল জানিয়েছেন, নতুন লাইন চালু হলে রানাঘাট ও বনগাঁর মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে। দ্রুত পণ্য পরিবহণ হবে। সাধারণ যাত্রীদের মতে, এতে নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। সম্প্রতি এই শাখায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ইএমইউ ট্রেন চালু হওয়ার পর যাত্রীরা আরামদায়ক ভ্রমণের স্বাদ পেয়েছেন। এবার দ্বিতীয় লাইনের কাজ শেষ হলে রেল পরিষেবা আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হবে বলে আশা করছেন সকলে।