সময়সীমা অতিক্রম করে গেলেও গেল, সিজিও কমপ্লেক্স এ এসে পৌঁছলেন না রাজীব কুমার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বনাম সিবিআই দ্বন্দ্ব হার মানাচ্ছে যে কোনও বলিউড সিনেমাকেও ৷ রবিবার রাজীবকে ফোনে না পেয়ে পার্কস্ট্রিটে রাজীবের আবাসন, ভবানীভবন পুলিশ হেড কোয়ার্টার এবং উত্তরপ্রদেশে রাজীবের বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই৷ যেখানে বলা হয়েছিল, সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে কলকাতা পুলিশএর প্রাক্তন কর্তাকে হাজিরা দিতে হবে ৷ নোটিশে নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে আসেননি রাজীব কুমার৷
কয়েক মাস আগেই কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে থাকাকালীন রাজীবের কুমারের আবাসনে সিবিআইয়ের চার আধিকারিক তাকে জেরা করার জন্য পৌঁছলে কলকাতা পুলিশ তাদের জোর করে গাড়িতে তুলে সংলগ্ন পার্কস্ট্রিট থানায় নিয়ে যায় ৷ এরপর নাটকের মতোই পরপর দৃশ্য আসতে থাকে মঞ্চে৷ সিবিআইয়ের ও কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করে সেদিন রাতেই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ সকালে সেখানে উপস্থিত হন রাজীব কুমারও৷ পরে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়৷ প্রথম অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে বলা হয়েছিল যে তখনই গ্রেফতার করা যাবে না রাজীব কুমারকে৷ বর্তমানে রাজীব কুমারের উপর থেকে দেশের শীর্ষ আদালত সেই রক্ষা কবচ তুলে নেয়৷ রাজীবের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারী করেছে সিবিআই৷
চিটফান্ডকাণ্ডে ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার গঠীত বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার৷ সেই সময় ১৯৮৯ ব্যাচের এই আইপিএস ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার৷ পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চিটফান্ড তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে৷ তদন্তে নেমে বেশ কিছু অসঙ্গতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে৷ প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ৷কোথায় গেল? সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভ কেন প্রভাবশালী বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না? উত্তর রাজীব কুমারের থেকে জানতে চায় সিবিআই৷ অভিযোগ, রাজীব কুমার প্রিবারই এড়িয়ে গিয়েছেন সিবিআইকে৷ সেখান থেকেই শুরু রাজীব-সিবিআই টানাপোড়েন৷