সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে , মুখ থুবড়ে চরম বিপাকে পড়ল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চেষ্টা করেও পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ আটকে রাখতে পারল না মোদি সরকার। গতকাল সোমবার মাত্র ৩০ সেকেন্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ থুবড়ে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। ১ মূলত ,আগস্টের মধ্যে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে—১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই আবেদন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এক কথায় খারিজ করে দিল। এবার শুধু বাকি থাকল রাজ্যের প্রাপ্য মেটানোর প্রসঙ্গ।

হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি আ‌ইনে’ দুর্নীতির তদন্ত জারি রাখতে পারে কেন্দ্র। তবে ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত রাখা যাবে না। এদিকে মোদি সরকার সেই নির্দেশ পালন তো করেইনি, উলটে গত ৩১ জুলাই শীর্ষ আদালতে মামলা করে বিষয়টিকে আইনি জটে জিইয়ে রাখতে মরিয়া ছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, বঞ্চনা। সেই মতো ২২ সেপ্টেম্বর এবং ১৩ অক্টোবর মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল কেন্দ্র। সোমবারও (২৭ অক্টোবর) ‘কৌশলে’ সেই চেষ্টা চলে। কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয়, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা উপস্থিত নেই। অন্য এজলাসে ব্যস্ত। তাই মামলাটি পরে শুনলে ভালো হয়। সেই মতো ‘পাস ওভার’ দেয় বিচারপতির বেঞ্চ।

এদিকে এদিন কিছুক্ষণ পর শুরু হয় শুনানি, আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা শেষ হয় যায়। সলিসিটর জেনারেলকে আদালতের বেঞ্চ জানায়, ‘আপনারা মামলা তুলে নেবেন, নাকি আমরা খারিজ করব?’ তুষার মেহতা কিছু বলার আগেই আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। ফলে এবার যত দ্রুত সম্ভব বাংলায় ১০০ দিনের কাজ ফের শুরু করতে বাধ্য কেন্দ্র। এরপরও যদি কাজ শুরু না হয়, তাহলে কয়েকদিন দেখে কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্টে মামলার মূল আবেদনকারী ‘পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি’র আইনজীবী পূর্বায়ন চক্রবর্তী।

আর্থিক দুর্নীতির কারণে রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। মূলত পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ এবং দার্জিলিং—এই চার জেলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তার জন্য গোটা বাংলার গরিব শ্রমিকদের কেন ভুগতে হবে? কেন বন্ধ হবে কাজ? এই সওয়াল খাড়া করে গোড়া থেকেই সরব তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারবার চিঠি দেন কেন্দ্রকে। সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। কিন্তু বঞ্চনা মেটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *