স্যালাইন কাণ্ডে মৃত্যু দ্বিতীয় প্রসূতির, অবশেষে এসএসকেএমে মেদিনীপুরের প্রসূতি নাসরিনের মৃত্যু হল ৪ মাস কঠিন যুদ্ধের পর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : চার মাস লড়াই করেও বাড়ি ফিরতে পারলেন না নাসরিন । মেদিনীপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার পর তাঁকে আনা হয়েছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ রবিবার রাতে ডায়ালিসিস নিতে না-পেরে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে সেখানেই মৃত্যু হয় মেদিনীপুরের অসুস্থ প্রসূতি নাসরিন খাতুনের । সূত্রের খবর, নাসরিনের দেহ এসএসকেএম থেকে পোস্টমর্টেম হয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবে । স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূতির ।
প্রায় চার মাস যুদ্ধ করার পর মৃত্যু হল তাঁর । শেষ ইচ্ছে ছিল কোলের সন্তানকে ছুঁয়ে দেখা ৷ কিন্তু নাসরিনের তা পূরণ হল না । নাসরিনের জামাইবাবু ইনসান আলি বলেন, “দিন দশেক আগেই জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছিল নাসরিনকে । গত ১০ মে বাড়ি ফেরার কথা ছিল । যদিও ৯ মে রাত থেকে ফের খিঁচুনি, বমি শুরু হয় । অবশেষে রবিবার রাতে ডাক্তাররা জানান নাসরিন আর বেঁচে নেই ।”

কেশপুরের ন্যাড়াদেউলের বাসিন্দা ছিলেন নাসরিন । তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন স্বামী সেলিম খান-সহ পরিবারের সদস্যরা । সেলিমের বক্তব্য,” এ বার আমার সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে কীভাবে মানুষ করব ?” এদিকে ঘটনাক্রমে জানা যায়, চলতি বছরের 8 জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমাতে সন্তানের জন্ম দেন পাঁচ প্রসূতি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা হলেন মামনি রুইদাস, রেখা সাউ, মাম্পি সিং, মিনারা বিবি ও নাসরিন খাতুন।
অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের চিকিৎসার অব্যবস্থা সেইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (LR) স্যালাইন দেওয়ার জেরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয় ৷ বাকি 4 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে । তড়িঘড়ি ওই অসুস্থ প্রসূতিদেরকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে সুস্থ হয়ে ওঠেন রেখা সাউ ৷ বাকি তিনজনের অবস্থার অবনতি দেখে মাম্পি সিং, মিনারা বিবি ও নাসরিন খাতুনকে কলকাতায় SSKM-এ নিয়ে যাওয়া হয় ৷