অবশেষে দিল্লি পুলিশের হানা কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণের বাড়িতে , নথিভুক্ত হল ১২ জনের বক্তব্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত, রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বাড়িতে হানা দিল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের এক স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা এসআইটি এই মামলার তদন্ত করছে। মঙ্গলবার (৬ জুন), উত্তর প্রদেশের গোন্ডায় বিজেপি সাংসদের বাড়িতে পৌঁছে যায় এসআইটির সদস্যরা। সূত্রের খবর, এদিন ব্রিজভূষণের বাসভবনে গিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিররা যে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন, সেই বিষয়ে ১২ জনের বক্তব্য নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। যাদের বিবৃতি নথিভুক্ত করা হয়েছে, তাদের নাম, ঠিকানা এবং পরিচয়পত্রও সংগ্রহ করেছে তদন্তকারীরা। ব্রিজভূষণের কয়েকজন সমর্থককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১৩৭ জনের বক্তব্য রেকর্ড করা হল। এদিন ব্রিজভূষণকেও জেরা করা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি।
২৮ এপ্রিল, রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কনৌট প্লেস থানায় দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল দিল্লি পুলিশ। একটি ছিল নাবালিকা কুস্তিগীরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের ধারায়, অপরটি ছিল বাকি ৭ মহিলা রেসলারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায়। তবে, এই মামলার ক্ষেত্রে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে, অভিযোগ করেছিলেন কুস্তিগিররা। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলার শালীনতা ক্ষুব্ধ করা, যৌন হয়রানি-সহ বেশ কয়েটি ধারায় মামলার দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। কুস্তিগির হিসেবে তাদের কর্মজীবনে বিশেষ সাহায্য় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে “যৌন সুবিধা” চেয়েছিলেন ব্রিজভূষণ, এমন অভিযোগও করেছেন কয়েকজন মহিলা কুস্তিগির। গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছিল, ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মতো কোনও প্রমাণ এখনও তাদের হাতে আসেনি।
এদিকে ব্রিজভূষণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা একটিও অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে ফাঁসি দেবেন। এই অবস্থায় ত প্রায় একমাস ধরে দিল্লির যন্তর মন্তর চত্বরে ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে অস্থান করছেন কুস্তিগিররা। সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ার মতো বিশ্বখ্যাত কুস্তিগিররা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শনিবার রাতে অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনার পর, কুস্তিগিররা অবস্থান তুলে নিচ্ছেন বলে গুজব রটেছিল। পরে কুস্তিগিরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা নিজ নিজ সরকারি কাজে যোগ দিচ্ছেন, তবে আন্দোলন জারি থাকবে। ব্রিজভূষণের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই।