এবার স্বাস্থ্য দফতর ‘সাফাই’-এ সুর আরও চড়া হল আরজি কর আন্দোলন বহাল রেখেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের পর থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসক সংগঠনগুলো। অভয়া-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতেও পথে রয়েছেন চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষ। এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য এখনও বেহাল বলে মনে করছে চিকিৎসক সংগঠনগুলো। তাঁদের যৌথ মঞ্চ একাধিকবার পথে নেমেছে, স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। তবু রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নিয়ে বলে দাবি তাঁদের।
বৃহস্পতিবার ১৭ দফা দাবি পূরণে স্বাস্থ্য ভবনে কর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দেয় সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাস বলেন, “এত ঘটনার পরও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বেহাল দশা কাটেনি। কোনওরকম টনক নড়ছে না। সিন্ডিকেটরাজ থেকে থ্রেট কালচার, বদলির কোনও নিয়মনীতি নেই, অসংখ্য পদ ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে। তার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের খোলনোলচে বদলানোর দাবিতে এই ডেপুটেশন।”
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে ডেপুটেশন দেয় সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। অবিলম্বে স্থায়ী ২ জন ডিরেক্টর DME এবং DHS নিয়োগ, ওই পদ দুটির Ex Officio Secretary পদমর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া, Indian Public Health Standard অনুযায়ী সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ ও পরিকাঠামো তৈরি, স্বচ্ছ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক বদলি নীতি চালু, সিন্ডিকেটরাজ ও থ্রেট কালচার বন্ধ করা, যাতে আর কোনও অভয়া কাণ্ড না ঘটতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া সহ মোট ১৭ দফা দাবি স্বাস্থ্য দফতরে পেশ করে ফোরাম। দাবি না মানলে সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে বলে জানিয়েছেন ডা: সজল বিশ্বাস।
অভয়া কাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে ট্রায়াল চলছে ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের। দু’দিন প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎচার চেঁচামেচি করায় কালো কাঁচে ঘেরা গাড়িতে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে। ধৃতের দাবি, তাঁকে ফাঁসিয়েছে কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা। তাঁর অভিযোগের তিরে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। একদিকে তদন্ত, আদালতে বিচার প্রক্রিয়া, তারই পাশাপাশি চলছে পথে নেমে আন্দোলন ও স্বাস্থ্য দফতরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান।