গ্রাহক ভাঙানোর অভিযোগ সুযোগ সুবিধা দিয়ে , আরও কড়া হচ্ছে ট্রাই

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কোনও সংস্থা কী হারে মাসুল নিচ্ছে টেলিকম পরিষেবার জন্য , তা তাদের জানাতে হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই-কে। কিন্তু সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে প্রতিযোগিতার দৌড়ে অন্যের গ্রাহক ‘ভাঙিয়ে’ নিজেদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে বাড়তি সুবিধা দেওয়ারও। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি যা প্রতিযোগিতার পরিবেশের বিরোধী এবং তা বাজারের ভারসাম্য নষ্ট করে বলেও। সম্প্রতি এমন অভিযোগ পাওয়ার পরে ট্রাই টেলি-সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রককে যে মাসুল হারের কাঠামোর কথা জানিয়েছে, ডিস্ট্রিবিউটর বা খুচরো বিক্রেতার মাধ্যমে তারা শুধু সেই হারেই মাসুল নিতে পারবে। দেওয়া যাবে না কোনো বাড়তি সুযোগ সুবিধা।

সাধারণ ভাবে ট্রাই মাসুলের হার ছেড়ে দিয়েছে বাজারের উপরেই। কিন্তু সেই সুযোগে যাতে কেউ প্রতিযোগিতার নিয়ম ভেঙে কোনও রকম ‘টোপ’ দিয়ে অন্য সংস্থার গ্রাহকদের নিজেদের সংস্থায় টেনে আনতে না-পারে, সে জন্যও রয়েছে কিছু নিয়ম ও ব্যবস্থাও। অথচ সম্প্রতি বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা একে অপরের বিরুদ্ধে ট্রাইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, কোনও গ্রাহক তাঁর মোবাইল সংযোগের সংস্থা বদলাতে চাইলে (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি পরিষেবার মাধ্যমে) প্রতিযোগী সংস্থা তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ও বিশেষ মাসুল হারের প্রস্তাব দিচ্ছে। তবে যখনই অভিযোগ উঠেছে কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে , তখনই তা অস্বীকার করেছে সেই সংস্থা। আবার কখনও কোনও সংস্থা দাবি করেছে, তারা বলেইনি এমন সুবিধার কথা। খুব সম্ভবত সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই এমন সুবিধার কথা বলেছে ‘চ্যানেল পার্টনার’, অর্থাত্‍ কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা খুচরো বিক্রেতা।

এই অবস্থায় ট্রাইয়ের নির্দেশ, তাদের কাছে যে মাসুল হার সংস্থাগুলি নথিবদ্ধ করেছে, শুধু সেগুলিই তাদের চ্যানেল পার্টনার বলতে পারবে গ্রাহকদেরকে। এর অন্যথা হলে তার দায় টেলিকম সংস্থাগুলিরই। কারণ, তারাই লাইসেন্স নিয়েছে। পরিষেবা দেওয়ার জন্য তারাই নিয়োগ করেছে চ্যানেল পার্টনারদের। আর বিপণনের জন্যব্যবহৃত হয় সংস্থার ‘ব্র্যান্ড’ নামই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *