চরম বিপর্যয়ের মাঝে মুনাফার খেলা পাহাড়ে, কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ-দীর্ঘশ্বাস আটকে থাকা পর্যটকদের
দার্জিলিং: প্রকৃতির রোষে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড়। দার্জিলিং, কালিমপঙ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সর্বত্র ধসে বিপর্যস্ত জনজীবন। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, অসংখ্য পর্যটক আটকে পড়েছেন হোটেলে। কিন্তু এই বিপদের মধ্যেও চলছে এক অমানবিক ব্যবসা পাহাড়ে আটকে পড়া অসহায় পর্যটকদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক ভাড়া আদায় করছে কিছু গাড়িচালক। মূলত দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত মাত্র ৬৩ কিলোমিটারের দূরত্বে, আগে যেখানে গাড়িভাড়া ছিল ৩,৫০০, এখন সেখানে চাওয়া হচ্ছে ১৫,০০০ পর্যন্ত পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ, তারই অজুহাতে বাড়ছে ভাড়ার হার।

এদিকে দমদমের এক পর্যটক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “হাতজোড় করে অনুরোধ করেও কাজ হয়নি।১২ হাজার টাকার নিচে কেউ গাড়ি দিতে রাজি নয়।আমরা ১৭ জন একসঙ্গে এসেছিলাম। সব টাকা শেষ, এখন হোটেলেই আটকে আছি।” শনিবার রাতের ভয়াবহ বৃষ্টিতে পাহাড়ের রাস্তায় নামে ধস। মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের ঝলকানি আর অন্ধকারে বন্দি পর্যটকদের কাটে নিদ্রাহীন রাত। রবিবার সকালেও বিপদ কাটেনি — কেউই শিলিগুড়ি নামতে রাজি নয়।
এদিকে এক চালকের দাবি,রাস্তায় ধস পড়েছে, পাঙ্খাবাড়ি ঘুরে যেতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েই যাচ্ছি। ১৫ হাজার টাকা না নিলে ক্ষতি।”কিন্তু পর্যটকদের প্রশ্ন এই বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর কথা, না উল্টে পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার?” ফলাফল, ট্রেনের টিকিট বাতিল, হোটেলেই বাধ্যতামূলক আশ্রয়, আর কলকাতায় ফেরার কোনো পথ নেই।এদিকে পাহাড়ের নিঃশব্দ সুরের বদলে এখন ভেসে আসছে হতাশ পর্যটকদের এক দীর্ঘশ্বাস- কারও সর্বনাশ, কারও পৌষমাস