দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে রয়েছে ফরিদাবাদের জঙ্গি-যোগ ! অবশেষে এক বিরাট প্রমাণ এলো পুলিশের হাতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২ ৷ আহত হয়েছেন ২০জন ৷ এরই মধ্যে তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে ফরিদাবাদ থেকে যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং ডিটোনেটর উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলি এখানে ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে ৷ এদিকে প্রাথমিক তদন্তের পর আজ মঙ্গলবার সকালে দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আই-২০ গাড়িটি চালাচ্ছিল পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক উমর মহম্মদ ৷ সূত্রের আরও দাবি, প্রাথমিক তদন্তের পর দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের যোগ পাওয়া গিয়েছে ৷ ফরিদাবাদ থেকে সোমবার ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ওইদিনই বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ ৷

এদিকে, প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চালকের মুখে মাস্ক আছে। লালকেল্লার আশপাশের এলাকা এবং সংলগ্ন রাস্তাগুলির যাবতীয় সিসিটিভিগুলি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ দল তৈরি করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘন্টা আগে সকালে ফরিদাবাদে একটি জঙ্গি মডিউলের সন্ধান পান তদন্তকারীর ৷ গ্রেফতার করা হয় তিন ডাক্তার-সহ মোট আটজনকে ৷ এই মডিউলেরই সদস্য উমর মহম্মদ ৷ পেশায় চিকিৎসক উমর মহম্মদ, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠির সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ ৷ তার সহকর্মী ডাক্তারদের গ্রেফতারের পরই উমর এই হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে তারিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেই তারিক উমরকে আই-২০ গাড়িটি দিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া সেই ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থের মধ্যে রয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার। এর মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট রয়েছে ৩৬০ কেজি ৷ একই সঙ্গে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

