ধারাবাহিক পরিষেবা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ UNICEF ও বিশ্বব্যাঙ্ক
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইতিমধ্যেই বাংলা বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য। এবার ফের রাজ্য প্রশংসা পেল আন্তর্জাতিক মহল থেকে। ইউনিসেফ (UNICEF), ইউএনডিপি (UNDP) ও বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank) ফের পশ্চিমবঙ্গে সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন করোনা ও আমফান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের দায়িত্ব কোনো রকম ভাবে ভোলেনি ওই দুই চরম বিপর্যয়ের মধ্যেও। দুর্যোগের মাঝেও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন রাজ্যের ৯৫ শতাংশ মানুষ। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে একটি ভার্চুয়ালি বৈঠকও করেন দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। তখনই আন্তর্জাতিক তিনটি সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশংসা করেন।
এদিন নবান্নে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প। এর মধ্যে ছিল ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘চোখের আলো’ ইত্যাদি একাধিক কর্মসূচি। এই কর্মসূচিগুলি সফল বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমনকি বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপাররাও। এদিন মুখ্যমমন্ত্রী প্রকাশ করেন ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ নামে দুটি বইও।
সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন সবাইকেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে এক কোটিরও বেশি সাইকেল বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিন করোনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার সমস্ত পুরকর্মীদেরও করোনা টিকা দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাতে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের মাঝেই বিশ্বব্যাংক এবং ইউনিসেফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। বিশ্বব্যাংকের তরফে এই বৈঠকে যোগ দেন জুনেইদ কামাল আহমেদ। তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে কাজ হয়েছে, অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ তাতে বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছেন। তিনি জানান, সরকার একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে কাজ করেছে। তাই এই সাফল্য এসেছে।