নতি স্বীকার কি তাহলে প্রশাসনিক চাপের মুখে? বাঁকুড়ার বেশিরভাগ ডিলারই সামিল হল দুয়ারে রেশন প্রকল্পে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এ যেন রাতারাতি ভোলবদল! বাঁকুড়ায় অধিকাংশ ডিলারই শেষপর্যন্ত সামিল হলেন ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে। তাঁদের আরও দাবি, তারা একরকম নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন প্রশাসনের চাপের মুখে।উল্লেখ্য, ‘দুয়ারে রেশন’প্রকল্প জেলায় জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছিল পুজোর আগেই। এমনকি ডিলাররা বাড়ি বাড়ি রেশনও পৌঁছে দিচ্ছিলেন এলাকায় ক্যাম্প করে। ১৬ নভেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাব এই প্রকল্পের সূচনাও করেন। ঘোষণা করেন, ‘পাঁচশো মিটার অন্তর ডিলাররা গাড়িতে করে রেশন পৌঁছে দেবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাঁরা থাকেন, আগে থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে। কোনও ডিলার যদি ‘দুয়ারে রেশন’-র জন্য গাড়ি কিনতে চান, সরকার সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভতুর্কি দেবে। এমনকি ডিলাররা রাখতে পারবেন আরও ২ জন কর্মী। তাঁদের অর্ধেক বেতন দেবে সরকার’। এমনকী, গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর জন্য চালু করা হয় একটি অ্যাপ ও হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও।
বাঁকুড়ায় কিন্তু ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সামিল হতে অস্বীকার করেছিলেন রেশন ডিলাররা। কিন্তু কেন? এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলার এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গুরুপদ ঢক জানিয়েছিলেন, ‘দুয়ারে রেশন চালু করার মতো নেই পর্যাপ্ত কোনো পরিকাঠামো। বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া যাবে না ডিসেম্বরে। তবে, আগের মতো গ্রাহকরা’দোকান থেকে রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন।বস্তুত, ডিসেম্বর মাসে যদি ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পর সামিল হওয়ার কথা খাদ্য দফতরকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তাহলে কেন বাড়ি বাড়িতে রেশন বিলির কাজ শুরু করলেন এদিন সকাল থেকে? ‘ খাদ্য দফতর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দুয়ারে রেশন’ চালু না করলে। বাঁকুড়ার রেশন ডিলারদের দাবি, তারা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন প্রশাসনিক চাপেই।