পুজোর ঢাকে কাঠি পড়লেও হোটেল ফাঁকা শৈলশহরের , চরম উদ্বিগ্ন পাহাড়ের পর্যটনমহল
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুজোর ছুটিতে সরগরম দার্জিলিংয়ের ছবিতে অভ্যস্ত পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে কর্মীরা ৷ এবার চেনা ছন্দ উধাও ৷ ফাঁকা দার্জিলিংয়ের হোটেল, গেস্ট হাউজ ৷ প্রতি বছর গরমে ও পুজোর ছুটিতে শৈলশহরে বুকিং উপচে পড়ে ৷ এবছর সেই চেনা ভিড়ে ভাটা পড়েছে ৷ হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটরদের অনেকেই মনে করছেন, পুজো এবার কিছুটা এগিয়ে এসেছে ৷ অন্যদিকে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেও পাহাড়ে আসতে ভয় পাচ্ছেন পর্যটকরা ৷

কারণ যাই হোক, ছুটির মরশুমে নিঝুম দার্জিলিংয়ে স্বভাবতই নিরাশ শৈলশহরের হোটেল মালিক থেকে শুরু করে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী-কর্মীরা ৷ পর্যটন মহলের একাংশ মনে করছে, গত বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পুজো ছিল ৷ এবছর সেপ্টেম্বরের শেষে দুর্গাপুজো ৷ তাই ভিড় হয়নি ৷ এছাড়া উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পাহাড়ে লাগাতার ভারী বৃষ্টি ও তারপর ধসের ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সিকিম-উত্তরবঙ্গের লাইফ লাইন 10 নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ এর সঙ্গে দোসর দার্জিলিংয়ে টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হওয়া ৷
এই বিষয়ে দার্জিলিং হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রদীপ মিত্র বলেন, “এবছর পুজো অনেকটাই এগিয়ে এসেছে ৷ বর্ষাও সেভাবে যায়নি ৷ পাহাড়ে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়ে চলছে ৷ পুজো এগিয়ে আসাটা পর্যটনে কিছুটা খারাপ প্রভাব ফেলেছে ৷ তার উপর আবহাওয়া তো আছেই ৷ মাঝে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস ৷ দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ধসের কারণে টয়ট্রেন বন্ধ ৷ এসবের জন্যে পর্যটকরা একটু ইতস্তত করছে ৷ তবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আশা করা যায় পর্যটকরা পাহাড়মুখী হবেন ৷” একই সুর শোনা গেল হোটেল মালিক রাজেশ প্রসাদের গলায় ৷ তিনি বলেন, “হোটেলে সেরকম বুকিং নেই ৷ আমার অন্য যেসব বন্ধুদের হোটেল আছে, তাঁদেরও একই অবস্থা ৷ বুকিংয়ের জন্য খোঁজখবর এলেও সেই বুকিং কনফার্ম হচ্ছে না ৷ জানি না কী হবে ৷” এদিকে আবার দার্জিলিং ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আন্ড্রু ভুটিয়া অবশ্য বলেন, “হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ অন্যান্য পাহাড়ি রাজ্যেও একের পর এক মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধস ও খারাপ আবহাওয়ার খবর আসছে ৷ সেটাও এবার দার্জিলিংয়ের পর্যটনে প্রভাব ফেলেছে ৷ গতবারের মতো এবারও বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঠিক আছে ৷”