প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরি উচ্চমাধ্যমিকে ‘০’ পেয়েও! চরম বিভ্রান্তি প্রাথমিক শিক্ষকের নম্বর ঘিরেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পাঁচ বছর ধরে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, আর তাঁর উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর শূন্য! তাহলে কীভাবে টেট দিলেন তিনি? কীভাবে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেন? হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৪-র নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য। উত্তর দিনাজপুরের এক শিক্ষকের উচ্চমাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর শূন্য। যদিও ওই শিক্ষকের দাবি, ভুল আসলে পর্ষদেরই। জেলা পরিদর্শকের অফিসে নিজের সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ওই শিক্ষক। পর্ষদ আর কত ভুল করেছে? প্রশ্ন বিরোধীদের। তবে পর্ষদের দাবি, ভুল করেছে এজেন্সি।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-র দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে কর্মরত বরুণ চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করনদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে যান তিনি। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে ওই শিক্ষকের নামের পাশে দেখা যাচ্ছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর শূন্য।
বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক সব নথিপত্র নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে যান। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, ডিএলএড ট্রেনিং সহ যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন তিনি। সব নথি খতিয়ে দেখার পর হতবাক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল সরকারও। তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র দেখলাম। কোথাও কোনও অসুবিধা নেই। বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত কিছু করার নেই।’ তাঁর দাবি, তিনি বিষয়টি পর্ষদকে ফোনে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, যে এজেন্সি তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিল, তাদের কাছে জবাব চেয়েছে পর্ষদ। এই ভুল মানিক ভট্টাচার্যের আমলের বলেই দাবি পর্ষদের। আর সে সব পুরনো কাগজ আর ঘাঁটতে রাজি নয় পর্ষদ। তবে এমন ভুল আর কত আছে? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে অনেক গরমিল আছে বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী।