ফের NDA-তে জোর বড় ধাক্কা ভোটের ঠিক মুখেই, দল থেকে ইস্তফা ২২ জন নেতার, সমর্থন করবেন এমনকি INDIA-জোটকেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভোটের মুখেই বড় ধাক্কা বিজেপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ-তে। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই শুরু লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই পাল্টি খেল বিহারে বিজেপির অন্যতম জোটসঙ্গী। চিরাগ পাসওয়ানের দল, লোক জনশক্তি পার্টির ২২ জন নেতা দল থেকে দিলেন ইস্তফা। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, লোকসভা নির্বাচনে এবার তারা এনডিএ-র বদলে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-কে সমর্থন করবেন। ঠিক ভোটে মুখেই একসঙ্গে এতজন নেতার শিবির বদল বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে বলেই জল্পনা-অনুমান।
জানা গিয়েছে, বুধবার এলজেপির ২২ জন নেতা জানান, লোকসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। টিকিট না পাওয়া নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেই দল থেকে ইস্তফা দেন। এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রেণু কুশওয়াহা, প্রাক্তন বিধায়ক তথা এলজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সতীশ কুমার, রাজ্য মন্ত্রী রবীন্দ্র সিং, অজয় কুশওয়াহা, সঞ্জয় সিং, রাজেশ দাঙ্গি প্রমুখ। এরা সকলেই লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র বদলে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইস্তফা দেওয়ার পর প্রাক্তন সাংসদ রেণু কুশওয়াহা বলেন, “ভোটে টিকিট দলীয় কর্মীদের দেওয়া উচিত, বাইরের কাউকে নয়। বাইরের লোকজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ আপনার দলে যোগ্য প্রার্থী নেই। আমরা কি আপনার দলে শ্রমিক যারা শুধু আপনাকে নেতা বানানোর জন্য পরিশ্রম করবে? আমরা দলের শ্রমিক নই।”
প্রাক্তন বিধায়ক সতীশ কুমারও বলেন, “যখন দেশে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা নির্বাচন হচ্ছে, এলজেপি সুপ্রিমো তখন এমন লোকজনকে টিকিট দিয়েছেন, যা দেখে দলীয় কর্মীরাও স্তম্ভিত। যারা দিন-রাত চিরাগের নামে স্লোগান দিত এবং নতুন বিহারের স্বপ্ন দেখত, তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তাদের স্বপ্নভঙ্গ করা হয়েছে। আমরা দেশকে বাঁচাতে INDIA- জোটকে সমর্থন করব।”
ভোটের মুখেই ২২ নেতার একসঙ্গে ইস্তফা ও বিরোধী শিবিরকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত শুধু চিরাগ পাসওয়ানের দলের জন্যই নয়, একইসঙ্গে বিজেপির জন্যও অস্বস্তি তৈরি করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, এলজেপির অন্দরে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল। টাকার বিনিময়ে ভোটের টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসনে লড়ছে চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি দল। এই আসনগুলি হল বৈশালী, হাজিপুর, সমস্তিপুর, খাগারিয়া ও জামুই।