বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালই কি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ? কে বিরোধীদের প্রথম পছন্দের , তুঙ্গে জল্পনা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইতিমধ্যে জল্পনা তুঙ্গে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে। এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম উঠে এল এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে নিয়ে চর্চার আবহেই। এদিকে সূত্রের দাবি, বিরোধী শিবিরের একাংশ গোপালকৃষ্ণের শরণাপন্ন হয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য ।
এমনকি জল্পনাও তুঙ্গে উঠেছে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে নিয়ে চর্চার আবহেই এবার উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি পদের জন্য গাঁধী পৌত্র বিরোধীদের মনোনীত প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবার বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে গোপালকৃষ্ণ হেরে যান । মূলত তিনি বাংলার রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব সামলেছেন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল অবধি। সূত্রের দাবি, বিরোধি শিবিরের একাংশ গোপালকৃষ্ণের শরণাপন্ন হয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য।
বিরোধীদের প্রথম পছন্দ কে ?
সূত্রের খবর, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে নিয়ে চর্চার আবহেই এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম উঠে এল।এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য, বিরোধী শিবিরের কয়েকজন নেতা ফোনে কথা বলেছেন তার সঙ্গে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য।জানা গিয়েছে বিরোধী নেতাদের একাংশের অনুরোধে প্রাথমিকভাবে গাঁধী পৌত্র ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলেই । বিরোধী শিবিরের একাংশের দাবি, গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকেই সর্বসম্মতিক্রমে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে সম্মত হলে তবেই ।অপরদিকে জাতীয় রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে পাওয়ারকে ঘিরেও । যদিও এই চর্চায় এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কোনো সদিচ্ছা দেখাননি।
বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে তৎপর মমতা
উল্লেখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষণা করেছে। সেই নির্বাচনের আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো বিশেষ উদ্যোগী হলেন বিজেপি বিরোধী সব শিবিরকে এক জায়গায় আনতে । মমতাও বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে তৎপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে। এদিকে মমতাও একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন দেশের অবিজেপি ৮ মুখ্যমন্ত্রী-সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে । সেই চিঠিতে এক হওয়ার ডাক দেওয়া হয় বিজেপি বিরোধী দলকে। এর জন্য গতকাল বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো একটি বৈঠকও ডেকেছিলেন । চিঠির সেই তালিকায় রয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টানায়ক, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্বভ ঠাকরে,ঝাড়খম্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান । এছাড়াও রয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাও। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে সেই বৈঠক। যেখানে অংশ নিয়েছিল কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি-সহ ১৭টি রাজনৈতিক দল। তবে, আপ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ কিছু তরাণ্বিত হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে।