বাংলার সাঁতারকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ফিন স্যুইমিং, সম্প্রতি লেকটাউনে হয়ে গেল পঞ্চম রাজ্য ফিন স্যুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপের আসর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফিন সাঁতারের হাত ধরে জাতীয় পর্যায়ে বাঙালিদের হৃত গৌরব ফিরে আসবে ৷ বিশ্বাস দ্রোণাচার্য তপন পানিগ্রাহীর ৷ অর্জুনদের প্রতি দ্রোণাচার্যের বিশ্বাসে অবশ্য অস্বাভাবিকত্ব নেই ৷ কারণ সাবেক সাঁতারে বাংলার সাঁতারুরা যখন বিশ বাঁও জলে হারিয়ে যাচ্ছেন, তখন আশার আলো ফিন সাঁতারে ৷ সোয়া শতবর্ষ আগে অর্থাৎ, ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিক্সে অর্ন্তভুক্ত ছিল ফিন সাঁতার ৷ কিন্তু দর্শক টানতে না-পারায় বাদ পড়ে এটি ৷ তারপর থেকে সাবেক বা প্রথাগত সাঁতারের কথা মুখে মুখে ফেরে, মানুষ তাতে আগ্রহীও হয় ৷ কিন্তু ফিন সাঁতার পিছিয়ে পড়ে ৷ তবে কয়েক বছর হল হারিয়ে যেতে বসা ফিন সাঁতার ফের চালু হয়েছে এদেশে ৷ বিগত ছ’বছর ধরে এই সাঁতার ভারতে শুরু হয়েছে ৷ আর বাংলায় ফিন সাঁতার চালু হয়েছে পাঁচ বছর আগে ৷

তবে সাবেক সাঁতারের সঙ্গে ফিন সুইমিংয়ের তফাৎ কোথায় ? আন্ডার ওয়াটার স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল-এর সাধারণ সচিব কঙ্কণ পানিগ্রাহী বলছেন, “সাবেক সাঁতারের মত ফিন সাঁতারে ফ্রি-স্টাইল, ব্যাকস্ট্রোক, ব্রেস্টস্ট্রোক নেই ৷ বরং ফিন সাঁতারের তিনটি ভাগ- মনোফিন, বাইফিন এবং অ্যাপোনিয়া ৷ বাইফিনে দু’টো পায়ে ফিন থাকে এবং মুখে স্নরকেল ৷ মনোফিনে দু’টো পা একটি বড় ফিনে ঢোকানো থাকে এবং মুখে স্নরকেল ৷ আর অ্যাপোনিয়াতে দু’পায়ে ফিন থাকলেও স্নরকেল থাকে না। সাঁতারুকে এক ডুব দিয়ে পঞ্চাশ মিটার পার করতে হয় ৷ অর্থাৎ জলের নীচে সাঁতরাতে হবে, মুখ তুলে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ নেই ৷ অ্যাপোনিয়াতে কেবল ৫০ মিটার সাঁতরাতে হয় ৷ অন্য দু’টো বিভাগে ১০০ , ২০, ৪০০ , ৮০০ মিটার পর্যন্তও সাঁতরাতে হয় ৷”
কঙ্কণ পানিগ্রাহীর সংযোজন, “ফিন সাঁতারুরা সাবেক সাঁতারুদের তুলনায় দ্রুতগামী ৷ কোস্টাল বিভাগে বর্তমানে ফিন সাঁতারুদের চাকুরি হচ্ছে ৷ সাগরে বিপন্ন কোনও ব্যক্তির কাছে একজন নুলিয়ার চেয়ে দ্রুত পৌঁছতে পারে ফিন সাঁতারুরা ৷ কারণ, তাঁরা স্নরকেল এবং ফিনের ব্যবহার জানেন ৷ এখনও পর্যন্ত ১৫ টি জেলায় ফিন স্যুইমিং অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়েছে ৷ এখানে যোগ্যতা অর্জন থেকে অংশগ্রহণের নিয়মবিধি সকলকে কড়াভাবে মানতে হয় ৷ স্বজনপোষণ চলবে না ৷ চলে না ৷ ১২ টি আন্ডার ওয়াটার স্পোর্টস রয়েছে, ফিন স্যুইমিং তার মধ্যে অন্যতম ৷”