এবার শেষ হবে ঝক্কি পোহানোর দিন, এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স পান ঘরে বসেই , জেনে নিন নতুন নিয়ম

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। যেতে হবে না পরিবহণ দফতরেও। ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন সেই লাইসেন্স। এতোদিন পরিবহণ দফতরে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হতো। তারপর সেই লাইসেন্স পেতে অপেক্ষা করতে হতো। এবার নিয়মের বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে হয়রানি কমবে অনেকটাই। নয়া নিয়মে কিভাবে মিলবে লাইসেন্স? চলুন বিস্তারিত জেনেনিই ।

যাঁরা গাড়ি চালান তাঁদের জীবনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের গুরুত্ব অপরিসীম। সারা দেশের সব চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা খুবই জরুরি। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালকের জরিমানা অবধি হতে পারে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ড্রাইভারের জন্য একটি সরকারি নথি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি গ্যারান্টি দেয় যে আপনি লাইসেন্স সহ একটি গাড়ি চালাতে সক্ষম। মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ১৯৯৮ অনুযায়ী, দেশের যে কোনো প্রান্তে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে তাকে চড়া জরিমানা করা হয়। তাই প্রতিটি চালকের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা খুবই জরুরি। তবে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা কিন্তু মুখের কথা নয়, যথেষ্ট ঝক্কির কাজ বলেই মনে করা হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পরিবহণ দফতরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আবেদনকারীকে। কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এরফলে আপনার কষ্ট অনেকটাই লাঘব হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ হতে চলেছে। আপনি এবার সহজেই ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে পারবেন। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আপনাকে আর পরিবহণ দফতরে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এখন আপনি যে কোনও স্বীকৃত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে লাইসেন্স করাতে পারবেন। আবেদনকারীরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে স্কুল থেকে সার্টিফিকেট পাবেন। এই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।

আপনি যদি প্রশিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। দুই চাকার, তিন চাকার ও হালকা মোটরযানের প্রশিক্ষণ দিতে ন্যূনতম এক একর জমি লাগবে। মাঝারি ও ভারী যাত্রীবাহী পণ্যবাহী যানবাহন বা ট্রেলারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য দুই একর জমি প্রয়োজন হবে। প্রশিক্ষকদের কমপক্ষে দ্বাদশ শ্রেণির ডিপ্লোমা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে কমপক্ষে পাঁচ বছরের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। হালকা মোটরযান চালানোর জন্য সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ এবং সর্বোচ্চ ২৯ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। বাইক ও হালকা চার চাকার গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহে ২৯ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই পর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্কুলগুলি ট্রাফিক সম্বন্ধে যাবতীয় ধ্যান ধারণা দেবে। বিভিন্ন পরিবেশে কীভাবে গাড়ি চালাতে হবে তা শেখাবে তারা।দুর্ঘটনা ঘটলে কী করতে হবে, ফার্স্ট এড, গাড়ির জ্বালানি সম্পর্কেও ধারণা দেবে তারা। তার ভিত্তিতেই ফাইনাল টেস্ট রান হবে। এরপরেই আপনি পেয়ে যাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *