বিধানসভা ভোটের আগেই চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দিতে বিশেষ তৎপর হল রাজ্য সরকার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়বে ৷ কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ৷ আদালতের রায়ের পর নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ৷ কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তথা রাজ্য সরকারের গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা ৷ ভোটের আগে তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়াই এখন মূল লক্ষ্য বলে জানালেন ব্রাত্য বসু ৷ এদিকে এই নিয়ে এদিন আদালত এবং বিরোধী দলগুলিকেও চরম নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ তিনি এও বলেন, “বিগত পাঁচ মাস ধরে আমাদের দফতর আদালত ও বিরোধী দলগুলির আক্রমণ ঘাড়ের উপর নিয়ে কাজ করেছে ৷ এখন এসএসসি-র ‘যোগ্য’দের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলে, একটা বৃত্ত সম্পন্ন হবে ৷ তাহলেই আমাদের রাজনৈতিক দল সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে ৷”

উল্লেখ্য, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে খারিজ করেছে ৷ ফলে প্রাথমিকের প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বহাল রইল ৷ স্বভাবতই ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে খুশি রাজ্য সরকার তথা শাসকদল ৷ তারপরেই এদিন বিকাশ ভবনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে সঙ্গে নিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “আদালতকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানাব মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ পাঁচ মাস ধরে এই কেসের পিছনে মগজমারি করে গিয়েছি ৷ তার ফলাফল আজ এসেছে ৷ এই জয় প্রমাণ করে দিল, সরকার সবসময় শিক্ষকদের পাশে আছে ৷ অবশেষে আজ সত্যের জয় হল ৷”

তবে, এই রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ৷ সেই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকার সবার আছে ৷ যাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি, তাঁরাও কিন্তু আমাদের রাজ্যেরই ছেলেমেয়ে ৷ তাঁদের সঙ্গে এই সংকীর্ণ রাজনীতি করা উচিত নয় ৷ ৩২ হাজার ছেলেমেয়ে যাঁরা চিন্তার মধ্যে ছিলেন, তাঁরা আবারও মাথা উঁচু করে স্কুলে যেতে পারবেন ৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *