মমতার নেতৃত্বে বিজেপিকে হারানোই আগামী দিনে একমাত্র লক্ষ্য, কালীঘাটে বললেন অখিলেশ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিরোধী রাজনীতিতে তৃণমূল কী ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে? ঘুরপাক খাওয়া এই প্রশ্নের মধ্যেই কলকাতায় এলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। বৈঠক করলেন মমতার সঙ্গেও । কলকাতায় পা দিয়েই বললেন, ‘বাংলায় এলে সবসময় ভাল লাগে।’ মিষ্টি দই খাওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করলেন হাসিমুখে।আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের ইডি-সিবিআই তদন্ত নিয়ে। লাগাতার তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। একহাত নিলেন কংগ্রেসকেও।
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে জমি তৈরি করতে এখন থেকেই ঘুঁটিতে সাজাতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।পদ্ম রুখতে হাতের হাত ধরা হবে নাকি তৈরি হবে তৃতীয় ফ্রন্ট তা নিয়েও চলছে চাপানউতর। এই প্রেক্ষাপটে মমতা-অখিলেশ বৈঠক রাজ্য-রাজনীতির আধারে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।আগামীতে অখিলেশ কী মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান? সপা প্রধানের সটান উত্তর, “সেটা আমরা সবাই মিলে বসে ঠিক করব।”
এদিনের বৈঠক নিয়ে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতির ময়দানেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সপার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দকে আগেই বলতে শোনা যায়, “জাতীয় স্তরেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই বোধহয় দিল্লি থেকেও আমার কাছে বহু ফোন আসছে। জানতে চাইছে মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় কী হবে। নিঃসন্দেহে রাজনীতি নিয়েই আলোচনা হবে। তবে বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত এর বেশি তো বলা যায় না।”
কলকাতায় এসেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অখিলেশ বলেন, “এটা প্রথমবার নয়, ষষ্ঠবার আমি বাংলায় এলাম। ২০২৪ সালে মোদীকে কীভাবে আটকানো যাবে, রণকৌশল কী হবে তা এই বৈঠকে ঠিক হবে।”এরপরই ইডি-সিবিআই তদন্ত নিয়ে একযোগে বিজেপি ও কংগ্রেসকে একহাত নেন অখিলেশ। বলেন, “ইডি-সিবিআই এই প্রথমবার তদন্ত করছে এমন নয়। এর আগে এই সংস্থাগুলিকে কংগ্রেসও ব্যবহার করেছে। এখন ভারতীয় জনতা পার্টি এই সংস্থাগুলির ব্যবহার করছে। তবে ইতিহাস বলছে যে পার্টিই ক্ষমতায় এসে ইডি-সিবিআইয়ের ব্যবহার করেছে তাঁদেরই হেরে যেতে হয়েছে দিনের শেষে। দিল্লি থেকে চলে যেতে হয়েছে। বাংলায়, বিহারে, তেলেঙ্গানায়, অন্ধ্রপ্রদেশে, তামিলনাড়ুতে, উত্তরপ্রদেশে বিরোধী দলের নেতাদের উপর প্রায়শই মিথ্যা মামলা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির উপরেই সবথেকে বেশি ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তবে কি তৈরি হচ্ছে তৃতীয় ফ্রন্ট? অখিলেশের উত্তর, “আমি দিদির সঙ্গে দেখা করছি। আমার মনে হয় যেভাবে দিদি আগে বিজেপির মোকাবিলা করেছিলেন আসন্ন নির্বাচনেও সেভাই লড়াই হবে। ক্ষমতা থেকে ফিরে যেতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকেই ।”