রতুয়ায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে খুনের অভিযোগ, অবশেষে তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিল বিহার পুলিশ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র ১ ডিসেম্বর সন্ধে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়৷ পরদিন বেলা ১২ টা নাগাদ তার দেহ উদ্ধার হয় বিহার থেকে ৷ সেখানকার কাটিহার জেলার আমদাবাদ থানার বিনোদটোলা গ্রামে রয়েছে আনন্দমার্গ গুরুকূল প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ ওই স্কুলের সেফটি ট্যাংক থেকে দেহ উদ্ধার হয়৷ আমদাবাদ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে৷ সেই ঘটনায় অভিভাবকদের সন্দেহের নিশানায় ছিল নিহত কিশোরের তিন বন্ধু৷ তাঁদের সেই সন্দেহই পরে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ শুক্রবার পুলিশি জেরায় তিনজন স্বীকার করে নিয়েছে, তারাই ওই কিশোরকে মারধর করে আনন্দমার্গ স্কুলের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দিয়েছিল৷

এই স্বীকারোক্তির পর মালদা জেলা পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় আমদাবাদ থানার পুলিশের সঙ্গে৷ এদিনই ওই থানার পুলিশ তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বিহার চলেযায় ৷ তিনজনের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন৷ ঘটনাটি মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জগবন্ধুটোলা গ্রামের৷ নিহত কিশোরের নাম অঙ্কুর সরকার৷ বয়স ১৫ বছর৷ এলাকায় রাজ নামে পরিচিত ছিল সে৷ জগবন্ধুটোলা গ্রামে তাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের বসবাস৷ তাদের বাড়ি থেকে বিহারের দূরত্ব মেরেকেটে ৩০০ মিটার৷ তাকে খুনের ঘটনায় যে তিনজনকে বিহার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই নাবালক৷ দু’জন দশম শ্রেণির ছাত্র এবং একজন স্থানীয় উদয়পুর হাইস্কুলের ছাত্র ছিল৷ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর সে আর পড়াশোনা করেনি৷ অন্য ক্লাসের হলেও তারা চারজন ছিল খুব ভালো বন্ধু৷ সমসময় একই সঙ্গে তাদের দেখা যেত৷
অঙ্কুরের বাবা চন্দন সরকার বলছেন, “সোমবার ১ তারিখ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমার ছেলেকে ওরা বিহার নিয়ে গিয়েছিল৷ বিনোদটোলা গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে ওদের নিমন্ত্রণ ছিল৷ সেদিন সন্ধে সাড়ে ছ’টায় আমি অঙ্কুরকে ফোন করি৷ কিন্তু ওর ফোন সুইচ অফ ছিল৷ রাত ন’টা পর্যন্ত আমি ওকে বারবার ফোন করে গিয়েছি৷ ছেলের সঙ্গে একবারও কথা বলতে পারিনি৷ রাতে বাকি তিনজনকে গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে দেখি৷ ওদের বলি, ওরা যেন অঙ্কুরকে ফোন করে৷ আমার কথায় ওরা অঙ্কুরকে ফোনও করে৷ আমাকে জানায়, ছেলের ফোন সুইচ অফ৷’’

