শিলিগুড়ি থেকে হদিশ মিলল মালদার সরকারি হোম থেকে পালানো ২ কিশোরীর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে হদিশ মিলল মালদার সরকারি হোম থেকে পালানো দুই কিশোরীর ৷ বিহারে পালিয়ে যাওয়ার আগে শিলিগুড়িতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় দু’জনই ৷ সেই খবর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস মালদা জেলা প্রশাসনিক মহলে ৷ তবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে দুই কিশোরী হোম থেকে পালিয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ এই ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ৷ তিনি জানান, “এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ আলাদাভাবে তদন্ত করছে ৷ আগামীতে যাতে এমন ঘটনা আর না-ঘটে তার জন্য ওই হোমের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে ৷ এনিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷”

এদিকে একপাশে অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তার কোয়ার্টার, অন্যপাশে জঙ্গল ৷ সামনে একাধিক সরকারি দফতর, পিছনে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস ৷ সেখানেই মালদা জেলার সরকারি হোম ৷ শুধুমাত্র ছয় থেকে আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের এখানে রাখা হয় ৷ ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই সরকারি হোমের পোশাকি নাম শৈশালি শিশুকন্যা আবাস ৷ হোমের বাইরে অবশ্য কোনও বোর্ড নেই ৷
হোমের চারদিকে উঁচু প্রাচীর ৷ উপরে কাঁটাতার ৷ গোটা চত্বরে বেশ ভালো সংখ্যায় সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে ৷ নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছে ৷ এত কিছু থাকা সত্বেও শনিবার ভোরে সেই হোম থেকে পালিয়ে যায় দুই নাবালিকা ৷ সরকারি হোম থেকে পালানো দুই কিশোরীর মধ্যে একজনের বাড়ি মালদা শহরে ৷ তার বয়স ১৫ বছর ৷ আরেক কিশোরী বিহারের বাসিন্দা ৷ তার বয়স ১৬ বছর ৷
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, একটি অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার দায়ে বিহারের ওই কিশোরী প্রায় এক বছর ধরে এই হোমেই ছিল ৷ মালদা শহরের কিশোরীটি ন’দিন ধরে ওই হোমে ছিল ৷ দিন দশেক আগে প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে সে এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ৷ ওই যুবক তাদের পাড়ায় থাকেন ৷ বিষয়টি জানতে পেরে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার দিনমজুর বাবা ৷ পরদিনই ওই যুবকের বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তারপর থেকে ওই কিশোরী সরকারি হোমেই ছিল ৷