হিন্দিতে হোক দেশের সমস্ত রাজ্যের সরকারি কাজ ’, দেশজুড়ে ফের প্রতিবাদের ইঙ্গিত অমিত-বচনে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সংবিধান মূলত বলছে ভারতে তামিল ভাষার যতটা গুরুত্ব আছে , হিন্দিরও ঠিক ততটাই গুরুত্ব আছে। আবার তেমনই সাঁওতালি ভাষা একইরকম মর্যাদা ধরে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আদর্শ মেনে চলা বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার চায় হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষার স্বীকৃতি পাক। সংসদের ভাষা কমিটির সভায় সেই বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের পরই ।
ঠিক কী বলেছেন অমিত শাহ? অমিত শাহ বলেছেন, একমাত্র হিন্দি ভাষাই দেশের ঐক্যের প্রতীক হতে পারে। হিন্দিতে হোক দেশের সমস্ত রাজ্যের সরকারি কাজ। হিন্দি হয়ে উঠুক এক রাজ্যের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম আরেক রাজ্যের মানুষের। ইংরেজির জায়গা নিক হিন্দি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিন্দিকে রাষ্ট্র ভাষা করার কথা বলেননি। কিন্তু হিন্দি যদি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়, সমস্ত সরকারি কাজ যদি সেই ভাষাতেই হয়, তবে তা সহজেই অনুমেয় তা যে রাষ্ট্র ভাষারই নামান্তর হবে ।
হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান হল বিজেপির মতাদর্শগত গুরু আরএসএসের স্লোগান। তারা এই স্লোগানের উপর ভর করেই দেখতে চায় ভবিষ্যৎ ভারতকে। এর আগে অমিত শাহ রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হিন্দিকে। তবে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন রাজ্যগুলির তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে।এতে অবিচার করা হবে দেশের বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গে। কারণ যে হিন্দিকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় তা কেবল মাতৃভাষা উত্তর ভারতের কিছু অংশের মানুষের। বড়জোর হিন্দি দেশের ৩০ থেকে ৪০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা। এদিকে অন্য ভাষায় কথা বলেন বাকি ৯৫ কোটি দেশবাসী। তাছাড়া ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্রের মধ্যে মিলন। সেই বৈচিত্র্যই নষ্ট হয়ে যাবে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করলে ।এমনকি অকাল মৃত্যু ঘটবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অন্তরাত্মারও!