২০০৮ সালের মামলায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামীকে তলব করলো ED-, জেরা চলল এমনকি দফায় দফায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢ়রাকে ফের একবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের দিল্লির বাসভবন থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে পায়ে হেঁটেই ইডির দফতরে পৌঁছে যান এই ব্যবসায়ী।ইডি অফিসে ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যমকে রবার্ট বলেন, ‘ইডির এই বারংবার তলব আসলে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতিরই নিদর্শন। কেন্দ্র সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের সুবিধার্থে যেমন ভাবে পারছে ব্যবহার করছে। গত দুই দশকে আমাকে ১৫ বার তলব করেছে। যার ভিত্তিতে আমি এই মামলা সংক্রান্ত প্রায় ২৩ হাজার নথি জমা দিয়েছি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘ওরা আমাকে চুপ করাতে চাইছে। যখনই আমি মানুষের জন্য কথা বলছি। তাদের নিত্য সমস্যা শুনছি, তখনই ওরা আমার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছে। এমনকি, রাহুলের মুখ বন্ধ করা থেকেও বিরত থাকছে না।’

এর আগেও চলতি মাসের প্রথম দিকে শিখপুর জমি আর্থিক তছরূপ মামলায় এই ব্যবসায়ীকে তলব করে ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সেই বার তিনি দফতরে যাননি বলেই খবর। যার জেরে মঙ্গলবার ওই মামলায় আবারও তাঁকে তলব করে ইডি তদন্তকারীরা।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গুরগাঁও এলাকার শিখপুরের একটি ৩.৫ একরের জমি মোট সাড়ে সাত কোটি টাকায় কেনেন রবার্ট। যা কয়েক বছর পর ডিএলএফ নামক এক সংস্থাকে ৫৮ কোটি টাকায় বিক্রি করেন। ইডির সন্দেহ এই আর্থিক লেনদেন মোটেই সোজা পথে হয়নি।

উল্লেখ্য , রবার্টের বিরুদ্ধে হওয়া আর্থিক তছরূপের মামলায় উঠে আসা DLF গ্রুপের নাম কিন্তু প্রকাশ্যে এসেছিল আরও একটি কাণ্ডে। গত বছর নির্বাচনের আগে সুপ্রিম রায়ে বাতিল হয়েছিল নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা। সেই সময় SBI-কে নির্দেশ দিয়ে কোন দল কার থেকে কত টাকা অনুদান পেয়েছিল সেই নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ১৭০ কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে দিয়েছে DLF গ্রুপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *