অবশেষে বাতিল হল তাজপুর বন্দর নির্মাণ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি, নতুন টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হল রাজ্য মন্ত্রিসভায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চার বছর আগে তাজপুর বন্দর নির্মাণ করতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল আদানিদের ৷ কিন্তু, তারপরেও এতটুকু এগোয়নি কাজ ৷ অবশেষে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকতে চলেছে রাজ্য সরকার ৷ অবশেষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্দর প্রকল্পের চুক্তি বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ৷

চার বছরে কাজ না-হওয়ায় তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নতুন করে টেন্ডার ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ৷ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এই টেন্ডারের বিষয়ে বলা হলেও সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷ পরে অবশ্য় সরকারের তরফ জানানো হয়, চুক্তিটি কার্যকর রয়েছে । ফলে, এই নিয়ে চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয় । অবশেষেএদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেটে গেল সেই ধোঁয়াশা ৷

এদিকে রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “তাজপুর বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডার জারির সিদ্ধান্তের অর্থ হল পূর্ববর্তী চুক্তি বাতিল করা ৷ এবার সেটাই হতে চলেছে ।” ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজ্য সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য নতুন টেন্ডার খোলার কথা ঘোষণা করলেও, প্রথম টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করা হয়নি । তার কয়েকদিন পর রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানায়, আদানি গোষ্ঠী এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । সরকারের তরফে জানানো হয়, বন্দর তৈরির জন্য দেশের প্রতিরক্ষা, নৌপরিবহন, বিদেশমন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার কাজ চলছে ৷

সেই সময় কেবলমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শর্তসাপেক্ষ নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই নিয়েও কথা আর এগোয়নি ৷ ফলে, আইনি মতামত নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজ্য সরকার ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “তাজপুর বন্দর তৈরি হবে । টেন্ডার প্রক্রিয়া রাজ্য অর্থ দফতর দেখবে । আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে আইনি মতামত নিচ্ছি ।” অবশেষে রাজ্য মন্ত্রিসভা নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য সম্মতি দিল।

x

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *