অবশেষে রাজ্য হাত গুটিয়ে নিচ্ছে স্কুল শিক্ষা থেকে! শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ অন্যান্য নিয়োগ করবে একমাত্র বেসরকারি সংস্থাই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে রাজ্য হাত গুটিয়ে নিচ্ছে স্কুল শিক্ষা থেকে! গণশক্তি এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে এবার হাত গুটিয়ে আগ্রাসী বেসরকারিকরণের পথে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সরকারি শিক্ষাঙ্গনের জমি, বিল্ডিং সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে।রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর খসড়া নীতি তৈরি করেছে পিপিপি মডেলে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কীভাবে তুলে দেওয়া হবে তার জন্য । এমনই খবর মিলছে।
গত ২ডিসেম্বর আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি নবান্নে এসে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করে গিয়েছিলেন। গৌতম আদানির পর গত ১০ফেব্রুয়ারি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন আদানি পুত্র করণ আদানি। জানা গেছে, তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি এরাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে। ঘটনা হলো, ২০০৩সাল থেকে আদানি গোষ্ঠী শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করে। ‘আদানি বিদ্যা মন্দির’ শিক্ষাক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর নয়া বিনিয়োগের ক্ষেত্র। রাজ্য আদানিদের হাতে রাজ্যের সরকারি শিক্ষাঙ্গনকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ।
ইতিমধ্যেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৭৯টি জুনিয়ার হাই ও হাই স্কুলে। কারণ হিসাবে সরকার সামনে এনেছিল পড়ুয়ার সংখ্যাকেই।অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষক, শিক্ষিকাদের । এখন সরকার ঠিক করেছে,অব্যবহৃত পড়ে আছে যে সব স্কুলের বাড়ি আর জমি। সেই সরকারি সম্পত্তি এখন হাত বদল হয়ে যাবে বেসরকারি হাতে।
খসড়া নীতিতে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার জমি, বাড়ি তুলে দেবে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের হাতে। বেসরকারি সংস্থাকে সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি ও বাড়ি তুলে দেওয়ার জন্য সময়ে সময়ে প্রস্তাব তৈরি করবে সরকার । যার মূল উদ্দেশ্য হিসাবে স্পষ্টতই বলে দেওয়া হয়েছে, এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতেই। পিপিপি মডেলে স্কুল তৈরির জন্য সরকারের তরফে প্রস্তাব (রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল) আসার পর তাতে অংশগ্রহণ করবে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা। কাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারি স্কুলের জমি ও বাড়ি তা ঠিক করার সময় সরকার বিনিয়োগে আগ্রহী সংস্থার শিক্ষাজগতে কাজের গুণগত মান ও আর্থিক ক্ষমতা বিচার করবে। ৮০শতাংশ প্রযুক্তিগত দিকের সঙ্গে ২০শতাংশ আর্থিক সক্ষমতা থাকলেই সরকারি সম্পত্তি তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে।