অবশেষে শহরের জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা চালু করল কলকাতা কর্পোরেশন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিপর্যয় মোকাবিলা ঠেকাতে কলকাতা কর্পোরেশন (তৈরি করল কলকাতা ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান বা কে-ক্যাপ (K-CAP)। জলবায়ু পরিবর্তন জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি, বিপর্যয় বা প্রাকৃতিক পরিবর্তন ও তার নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে দীর্ঘস্থায়ী বা স্বল্প সময়ের কিংবা বড় অংশে অথবা নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ। ঝুঁকি চিহ্নিত করে তা প্রশমন করার পদক্ষেপ এই পরিকল্পনা।

কে-ক্যাপের উদ্দেশ্য: শহরে জলবায়ু সংকট নেতিবাচক প্রভাব যে পড়ছে, কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তা স্বীকার করেছে ৷ ফলে আগামীর সুস্থ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এই কে-ক্যাপ তৈরি করল কর্পোরেশন ৷ এই পরিকল্পনায় শহরবাসী পরিবর্তিত অনিশ্চিত জলবায়ু প্রেক্ষাপটও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ থাকতে পারবেন। জাতীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কলকাতা চেষ্টা করবে নির্গমন শূন্য পরিস্থিতি তৈরি করার ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপক পরিস্থিতি বজায় রাখার ৷

কলকাতা কর্পোরেশনএর জলবায়ু মিশন: কর্পোরেশন বেশ কিছু বছর ধরেই শহরের জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের সমস্যা মোকাবিলায় বেশ অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ৷ এর মধ্যে নিকাশি ব্যবস্থা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য পরিকল্পনা তৈরি ৷ শহরজুড়ে বৃক্ষরোপণ । শহরে পতঙ্গবাহিত রোগ কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম ৷ এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও তার নেতিবাচক প্রভাব আটকাতে শহরের আরও বেশ কিছু পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মনে করছে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ । আইপিসিসি এ আর 6 রিপোর্ট-সহ একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কলকাতায় প্রভাব পড়তে পারে জলবায়ুগত ঝুঁকি উপর জোর দেওয়া হয়েছে এই পরিকল্পনায়।

এদিকে আধিকারিকদের কথায় সেই সমস্ত ঝুঁকিগুলো হল, ২০২০ আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় শহরের সবুজ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫০ কোটি টাকা। সারা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র কলকাতা যেখানে দুর্যোগের কবলে মৃত্যুর ঘটনা সব থেকে বেশি । জলবায়ুগত ঝুঁকি মোকাবিলায় করতে পারে এমন পরিকল্পনার অভাব ছিল শহরের ৷ বিশ্বের অন্যতম প্রধান শহর যেখানে বাসিন্দারা তাপ ও শহরে খাবার ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে। সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি ও ব্যনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন উপকুলীয় শহরের মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা ৷ 2025 সালের মধ্যেই বিপদ ঘনাতে পারে বলেই আশঙ্কা ৷ ঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধির জেরে ও অতিরিক্ত জলস্তর ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে এই শহর ৷ ২০৫০ সালের মধ্যে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়াবে এই শহর।

আবার আইপিসিসিএআর (IPCCAR) 6 রিপোর্ট অনুসারে, ১৯৫৮ -২০১৮ সালের মধ্যে কলকাতার গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে 2.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিবেশবিদদের কথায়, মহানগরের জলবায়ুগত ঝুঁকি সেটা তাপমাত্রা জনিত ৷ এর ফলে বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি আর বাড়ার সম্ভবনা আছে ৷ এই সমস্ত ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘ মেয়াদী বিস্তারিত পরিকল্পনা কলকাতা ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করল কলকাতা কর্পোরেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *