অবস্থা স্বাভাবিক হতে ফের পর্যটক এর ঢল নামলো পাহাড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা : দিনের পর দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগে একেবারে বিবৃত হয়ে পড়েছিল দার্জিলিং কালিম্পং এবং কার্শিয়াং। বন্ধ হয়ে গেছিল সিকিমের সমস্ত রাস্তা। যেসব পর্যটক সিকিমে বেড়াতে এসেছিলেন তারা কিভাবে ফিরে যাবেন সেই চিন্তাই করছিলেন, আর অধিকাংশ পর্যটকই তাদের টিকিট বাতিল করে ফেলেছিল। ওটা পাহাড় জুড়ে একটা হতাশার বাতাবরণ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কারণ এই তিন মাসই পাহাড়ে পর্যটকদের আগমনের সময়। গোটা পাহাড় এই তিন মাস ছাড়া কেবলমাত্র পুজোর সময় পর্যটকদের হাতে পায়, তাই ধসের বিধ্বস্ত পাহাড় কবে আবার স্বাভাবিক হবে সেটা নেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পর্যটকেরা এবং পাহাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় মানুষের সহায়তায় বেশিদিন থাকেনি। ধ্বসে বিধ্বস্ত হিকিম এবং দার্জিলিং কে স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছিল। তাইতো এই সপ্তাহ থেকেই টিকিট বুকিং শুরু হওয়াতে বিশেষ করে টয় ট্রেন এর বুকিং এর জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়।
এদিকে গতকাল থেকেই আবার দার্জিলিং এবং সিকিমের হোটেল গুলিতে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছে, যার আকর্ষণ কোনদিনও পিছনে রেখে দেয় নি পর্যটকদের। পাহাড় বরাবরের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হে যতই বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন, শিবের কাছে বিদেশীদের কাছে শেষ করে ইউরোপিয়ানদের কাছে কাছে দার্জিলিং এক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ শেষ হতে না হতেই পাহাড়ে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা, খুশির দার্জিলিং এর সাধারণ মানুষ সাথে সাথে সিকিমেরও। আবার হাসছে এটাই একটা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দার্জিলিং এর সাধারণ মানুষের কাছে। গুরুত্ব বেড়েছে টয় ট্রেনের, গতকাল রাত পর্যন্ত বুকিং হচ্ছে টয় ট্রেন এর। সবাই খুশি এইভাবে পরিষেবা আবার শুরু হওয়াতে।