আধার কার্ড বৈধ এসআইআরের ক্ষেত্রে , ৬৫ লক্ষ ভোটার বাতিলের কারণ জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অ্যাকসেপ্ট আধার!’ এই দুই শ঩ব্দই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হিসেবে ধেয়ে এল নির্বাচন কমিশনের দিকে। বিহারের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশনে (এসআইআর) গ্রহণ করা হবে আধার কার্ড। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিল খোদ সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশে জোর ধাক্কা খেয়েছে কমিশন। বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম কেন বাদ পড়েছে, সেই কারণ সহ সম্পূর্ণ তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করতেও বলা হয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট ১১টি নথির একটিও না থাকলে আধারের ফোটোকপি দিয়ে আবেদন জানানো যাবে। রেডিও, দূরদর্শন, ইংরেজি এবং আঞ্চলিক ভাষার সংবাদপত্রে একথা প্রচার করতে হবে কমিশনকে। এমনকী প্রশাসনের পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত তা জনসমক্ষে জানাতে হবে। ২২ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।

আইন অনুযায়ী, আধার ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় ঠিকই। কিন্তু ‘পরিচয়পত্র’ তো বটে। এসআইআরে ইনিউমারেশন ফর্ম ফিল-আপের ক্ষেত্রে কমিশন যে নির্দিষ্ট ১১টি নথির কথা বলেছে, তার প্রথমটিই ‘এনি আইডেন্টিটি কার্ড।’ আর এই অংশটিকেই অস্ত্র করে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ নাগরিকের সুরাহার সন্ধান দিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী ২০০৩ সালে কী পদ্ধতিতে, কোন কোন নথির ভিত্তিতে এসআইআর হয়েছিল, তাও জানতে চাইল কমিশনের কাছে।

কমিশনের আইনজীবী রাজেশ দ্বিবেদী আধারকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে আটকানোর চেষ্টা করেও পারলেন না। গত ১০ জুলাই শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আধার বা ভোটার কার্ড কেন বৈধ প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রাহ্য হবে না, বলতে পারেন?’ জবাবে কমিশন গোড়া থেকেই ‘এগুলি নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়’ বলেই দা঩বি করে গত সাতটি শুনানি পার করেছে। কিন্তু এদিন আর আটকানো যায়নি। ফলে আশার আলো দেখছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর)। উচ্ছ্বসিত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেসর কে সি বেণুগোপালদের মতো বাকি ১৭জন আবেদনকারীও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *