আবারও ‘টার্গেট’ বৃদ্ধ নিঃসন্তান দম্পতি! নৃশংস খুন বাড়িতে ঢুকে, কিনারা হল মাত্র ৩ ঘণ্টায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ঘণ্টা তিনেকেই নৃশংস খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। নিঃসন্তান মাসি ও মেসোমোশাইকে খুনের অভিযোগে শ্রীঘরে ঠাঁই সম্পর্কে ভাইঝি ও তাঁর দুই ছেলের। বৃদ্ধ মাসি ও মেসোমোশাইয়ের সম্পত্তিতে নজর পড়েছিল তাঁদেরই এক আত্মীয়ার মেয়ের। নিঃসন্তান দম্পতির টাকা-পয়সা হাতাতে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ঢোকে ওই মহিলা। বৃদ্ধ মাসি ও মেসোমোশাইকে খুন করে টাকা-পয়সা লুঠ করে চম্পট দিয়েছিল তারা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। নৃশংস এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রবীন্দ্রপল্লী এলাকার।

বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ির সদর দরজার গেটের বাইরের দিকে লাগানো ছিল তালা। তা দেখে কারও বোঝারই উপায় ছিল না ওই বাড়ির ভিতরে ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড। সেটাই সামনে চলে মঙ্গলবার বিকেলে। বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। আত্মীয়দের কথা মেনে পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রবীন্দ্রপল্লী এলাকার ওই বাড়ির সদর দরজায় লাগানো থাকা তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। লণ্ডভণ্ড হয়ে থাকা আলাদা-আলাদা ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাত মৃতদেহ।

এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই রবীন্দ্রপল্লীতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘর থেকে পুলিশ ৭৫ বছর বয়সী অভিজিৎ যশ এবং ৬৫ বছর বয়সী ছবি যশের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে সিট তৈরি করে জেলা পুলিশ। দ্রুত শুরু হয় তদন্তের কাজ। জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস নিজে গত সন্ধ্যায় পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। একই সময়ে ’স্নিফার ডগ’ নিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশের তদন্তকারী দল। বাড়ির ভিতরের সবিস্তার খতিয়ে দেখার পর সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাইরে থেকে ওই বাড়ির দরজায় তালা লাগানো ছিল। পুলিশ তালা ভেঙে ওই বাড়ির ভিতরে ঢোকে। বাড়ির ভিতর আলাদা আলাদা ঘর থেকে নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দু’জনেরই শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘরের মধ্যে থাকা দুটি আলমারি খোলা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। সেখানে জিনিসপত্র সব ছাড়ানো অবস্থায় ছিল। অন্য ঘরের জিনিসপত্রও তছনছ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। দম্পতিকে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *