‘‘আমি একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি ক্ষমতায় আসার পর , তোমরা কেন চাকরি খাচ্ছ? – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনি মন্তব্য করলেন আলিপুর আদালতে এসে
বেস্ট কলকাতা নিউজ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক রায় যে রাজ্য সরকারকে চরম অস্বস্তিতে রেখেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক বক্তব্যে ফের তার প্রমাণ মিলল। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা তো আইনজীবীদের উপর নির্ভর করি। বিচারপতিদের রায়কে সম্মান জানাই। আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই। আমি অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনত স্বীকৃত, সেই অধিকারের কথা আমি বলছি।’’ এর পর তিনি এও বলেন, ‘‘আমি যদি অন্যায় করি, গালে আপনারা দুটো চড় মারুন। আমি কিচ্ছু মনে করব না। যদি আমি দেখি, ‘ইয়েস আমি গিল্টি।’ আমি জেনেশুনে জীবনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি ক্ষমতায় আসার পর । তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তিনি সিপিএম আমলে হাই কোর্টের একটি রায় প্রত্যক্ষ করেছিলেন। যেখানে একটি মামলায় বিচারপতি চাকরি নিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি রায় শুনেছিলাম। চাকরি নিয়ে মামলার রায়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ সংশোধন করে নাও যদি কোনো ভুল থাকে।’ উনি চাকরি খাওয়ার কথা বলেননি।’’
এর পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে তাহলে ।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘সবাই আমার সরকারের ক্যাডার নন। সরকারের ক্যাডার হলেও তাঁরা কোনও না কোনও দলের সমর্থক। তাই সেখানে বসে যদি কেউ অন্যায় করেন, তিনি আমার দলেরও হন, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’
এদিন চাকরি হারানোর পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গও তার মন্তব্যে উঠে আসে । তিনি বলেন, ‘‘ দু’জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমি ভেবে দেখতে বলব (হাই কোর্টকে)। কেউ যদি ভুল করে থাকেন, তাঁর দায় ওঁরা (চাকরিরত) নেবেন কেন? আজ চাকরি করে বলে দু’জন ছেলেমেয়ে বিয়ে করেছেন। তাঁর বাবা-মাকে দেখাশোনা করতে পারছেন। হঠাৎ করে চাকরিটা চলে গেলে তাঁরা খাবেন কী!’’